জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত, মিরপুরে আজ এমন সমীকরণ নিয়েই খেলতে নেমেছিল ফরচুন বরিশাল। সিলেট স্ট্রাইকার্সকে বড় ব্যবধানে হারিয়েই রংপুর রাইডার্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ খেলা নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। সিলেটকে ১১৬ রানে অলআউট করে স্কোরটা ৪ ওভার ও ৮ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়েছে তামিম ইকবালের বরিশাল।
ম্যাচে অনিশ্চয়তা বলতে ছিল শুধু তামিম ইকবালের ফিফটি পাওয়া নিয়ে। দুই দলের স্কোর যখন সমান, তামিম দাঁড়িয়ে ৪৮ রানে। সুমন খানের বলে স্ট্রেট ড্রাইভে চার মেরে দলের জয় ও ফিফটি পেয়ে যান তামিম। এবারের বিপিএলে তৃতীয় ফিফটি করে তামিম অপরাজিত থাকেন ৫২ বলে। ৫১ বলের ইনিংসে এই বাঁহাতি মেরেছেন ৬টি চার।
৮১ রানে অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে তামিমের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম ৩০ বলে করেছেন ৪২ রান। ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন মুশফিক। দলটির ওপেনার তাওহিদ হৃদয় ৭ বলে ৬ ও ইংলিশ ব্যাটসম্যান ডেভিড ম্যালান ৮ বলে ৯ রান করে বিদায় নেওয়ার পর জুটি বাঁধেন তামিম ও মুশফিক।
এর আগে পাকিস্তানি মিডিয়াম পেসার ফাহিম আশরাফের কাছেই মূলত আত্মসমর্পণ করে সিলেটের ব্যাটসম্যানরা। ৩.১ ওভার বল করে মাত্র ৭ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন ফাহিম।
বিপিএল ইতিহাসে এর চেয়ে কম রানে কমপক্ষে ৫ উইকেট নেওয়ার ঘটনা আছে মাত্র একটিই। ২০১১-১২ মৌসুমে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের বিপক্ষে ৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ সামি। বিপিএলে এ ছাড়া ১০ রানের কম খরচে ৫ উইকেট পেয়েছেন শুধু ওয়াহাব রিয়াজ। পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার ২০১৯-২০ মৌসুমে ঢাকা প্ল্যাটুনের হয়ে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ৮ রানে নেন ৫ উইকেট।
সিলেটের ইনিংসে ২৯ বলে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান এহসান ভাট্টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান (১৯ বল) জাকের আলীর। সিলেট ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে ৩২ রান যোগ করেন ভাট্টি ও জাকের। সিলেটের হয়ে এ ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন অধিনায়ক আরিফুল হক (১৩ বলে ১২ রান) ও তানজিম হাসান (৮ বলে ১৩)।
প্লে-অফ নিশ্চিত করা বরিশালের পয়েন্ট ১৪। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে রংপুর রাইডার্সই শুধু বরিশালের ওপরে আছে। অন্যদিকে ১০ম ম্যাচে অষ্টম হারের স্বাদ পাওয়া সিলেটে পড়ে আছে তলানিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১৮.১ ওভারে ১১৬ (ভাট্টি ২৮, জাকের ২৪; ফাহিম ৫/৭, ফুলার ২/২৩, নবী ২/২৬)।
ফরচুন বরিশাল: ১৬ ওভারে ১২০/২ (তামিম ৫২*, মুশফিক ৪২*; সুমন ১/১৭)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ফাহিম আশরাফ।