আইপিএল ছেড়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কি খেলতে পারবেন দক্ষিণ আফ্রিকার আট ক্রিকেটার
আইপিএলে দক্ষিণ আফ্রিকার এমন আটজন খেলোয়াড় আছেন, যাঁরা ডাক পেয়েছেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য ঘোষণা করা প্রোটিয়া স্কোয়াডে। আইপিএলে খেলতে এই আট খেলোয়াড়কে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) প্রাথমিক যে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দিয়েছিল, সে অনুযায়ী ২৫ মের মধ্যে তাঁদের ভারত ছাড়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
গুজরাট টাইটানসের কাগিসো রাবাদা, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর লুঙ্গি এনগিডি, দিল্লি ক্যাপিটালসের ত্রিস্তান স্টাবস, লক্ষ্মৌ সুপারজায়ান্টসের এইডেন মার্করাম, মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের রায়ান রিকেলটন, করবিন বশ, পাঞ্জাব কিংসের মার্কো ইয়ানসেন এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের উইয়ান মুল্ডার ২৫ মের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরবেন। এরপর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে ৩০ মে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বাকি খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁরা ইংল্যান্ডের পথে উড়াল দেবেন। লর্ডসে ১১ জুন অনুষ্ঠিত হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল।
ঝামেলা হলো, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে স্থগিত হওয়া আইপিএল পুনরায় শুরু করতে নতুন যে সূচি তৈরি করা হয়েছে, সেটা দক্ষিণ আফ্রিকার এই আট ক্রিকেটারের ২৫ মের মধ্যে দেশে ফেরার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নতুন সূচিতে আইপিএলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৩ জুন। তার আগে ২৯ মে হবে প্রথম কোয়ালিফায়ার, ৩০ মে এলিমিনেটর, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১ জুন। অর্থাৎ প্লে–অফে খেলতে পারবেন না দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়েরা। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, এ বিষয়ে সমাধান খুঁজতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সিএসএ এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালকে গুরুত্ব দিয়ে এই আট খেলোয়াড়ের অনাপত্তিপত্রের (এনওসি) মেয়াদ ৩ জুন পর্যন্ত না বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিসিসিআই সেটা বুঝবে বলে আশা করছে সিএসএ। তবে সিএসএ এই শঙ্কাও করছে, এতে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হতে পারে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের স্কোয়াড ঘোষণার পর জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ শুকরি কনরাড বলেছেন, ‘আইপিএল-বিসিসিআইয়ের সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি ছিল, ফাইনাল যেহেতু ২৫ মে, তাই আমাদের খেলোয়াড়েরা ২৬ মে ফিরে আসতে পারবে। এতে ৩০ মে উড়াল দেওয়ার আগে তারা একটু সময় পাবে।’ এবার আইপিএলের পুরোনো সূচি অনুযায়ী, ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২৫ মে।
কনরাড জানিয়েছেন, দুই দেশের বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে কনরাড সরাসরি এ কথাও বলেছেন, ‘২৬ মে আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের ফেরত চাই। আশা করি, এটার বাস্তবায়ন ঘটবে।’
৩১ মে ইংল্যান্ডে পা রাখবে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। ৩ জুন ইংল্যান্ডে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা দল।
গুজরাট টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, পাঞ্জাব কিংস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ানস প্লে–অফে ওঠার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে আছে। সুযোগ আছে দিল্লি ক্যাপিটালসেরও। লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস প্লে–অফের দৌড় থেকে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে এবং সানরাইজার্স আগেই ছিটকে পড়েছে।