জিতেও দলের সিনিয়র ক্রিকেটারের আউট নিয়ে অসন্তুষ্ট আফগান অধিনায়ক
বাংলাদেশের বিপক্ষে গতকাল রাতে সহজেই জিতেছে আফগানিস্তান। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে তারা জিতেছে ১৭ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে। তবে জয়টা আরও সহজে আসতে পারত। যদি না ৫০ রান করা রহমত শাহ উইকেট দিয়ে না আসতেন।
ফিফটি তুলে নেওয়ার পর রহমত যেভাবে আউট হয়েছেন, তাতে খুশি নন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি।
আবুধাবিতে ২২১ রান তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তান প্রথম উইকেট হারায় ৫২ রানে। ২৩ রানে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান। দলীয় ৫৮ রানে ফেরেন সেদিকউল্লাহ আতাল।
এরপর তৃতীয় উইকেটে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রহমত শাহ ৭৮ রানের জুটি গড়েন। তখন আফগানরা সহজেই জিতবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৭০ বলে ৫০ রান করা রহমত তানজিমের বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজকে।
এ আউট নিয়ে ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করেছেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ, ‘ব্যাটিংয়েও আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। রহমানউল্লাহ গুরবাজ আর রহমত শাহ দুজনেই ভালো ইনিংস খেলেছে। তবে দিন শেষে আমি রহমতকে নিয়ে খুশি নই। গুরবাজের আউটটা ঠিক আছে, সেটা ভালো বল ছিল, কিন্তু রহমত নিজের উইকেটটা ছুড়ে দিয়ে এসেছে। এ পর্যায়ে যখন আমরা সেট হয়ে যাই এবং কন্ডিশন বুঝে ফেলি, তখন আমাদের উচিত ম্যাচটা শেষ করে আসা। রহমত ভালো খেলেছে, কিন্তু আমি ওর প্রতি কঠোর। কারণ, ও দলের সিনিয়র ক্রিকেটার। ওর আউট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই।’
রহমত ফেরার পরের ওভারেই আউট হন ৫০ রান করা গুরবাজ। তাঁকে আউট করেন মিরাজ। তবে এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ৪০ রানের ইনিংস ও হাশমতউল্লাহর অপরাজিত ৩৩ রানে জয় পায় আফগানিস্তান। সবমিলিয়ে দলের পারফরম্যান্সে খুশি আফগান অধিনায়ক, ‘দল যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুশি। এটা আমাদের জন্য ভালো একটা ম্যাচ ছিল, আর আমি পরের ম্যাচগুলোর জন্য নিয়ে অপেক্ষা করছি।’
বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ৩৫.২ ওভারে তুলেছিল ৩ উইকেটে ১৫৪। উইকেটে থাকা হৃদয় ও মিরাজ দুজনেই তখন বড় ইনিংস খেলার পথে। জুটিও ছাড়িয়েছিল ১০০। তাই সংগ্রহটা আরও বড় হওয়ার কথাই ছিল। তবে এমন সময়ে হাশমতউল্লাহর দারুণ ফিল্ডিংয়ে হৃদয়ের রানআউট ও রশিদের তিন উইকেটে বড় সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ দল। ৪৮.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় ২২১ রানে।
দলের ফিল্ডিং ও দলের বোলিংয়ের প্রশংসা করেন হাশমতউল্লাহ, ‘সত্যি বলতে, আমি অনেক পরিশ্রম করছি, বিশেষ করে ফিল্ডিংয়ের ফিটনেস নিয়ে। আজ আমার জন্য দিনটা ভালো ছিল, একটা দারুণ রানআউট করেছি, আর ক্যাচও ধরেছি। নিজের মান আরও উন্নত করতে চাই যেন দলের সেরা ফিল্ডারদের একজন হতে পারি। আগেও ভালো ফিল্ডার ছিলাম (হাসি)। সামগ্রিকভাবে আমি পারফরম্যান্স নিয়ে খুব খুশি। বোলাররা দারুণ বল করেছে, বিশেষ করে মাঝখানের ওভারে। তারা ভালো লাইন ও লেংথে কিপটে বোলিং করেছে।’
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ১১ অক্টোবর, আবুধাবিতেই।