৩য় টি–টোয়েন্টি
রেকর্ড জুটিও বৃথা, এবার নিউজিল্যান্ডের কাছে ৯ রানে হার ওয়েস্ট ইন্ডিজের
শেফার্ড ও স্প্রিঙ্গার নবম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৭৮ রান, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তো বটেই; টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ। কিন্তু রেকর্ড জুটিও দলের কোনো কাজে এল না।
বহু বাঁকবদলের জমজমাট সিরিজ হিসেবেই হয়তো এটিকে মনে রাখবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রত্যেক ম্যাচেরই ফল যে নির্ধারণ হচ্ছে শেষ ওভারে! যেখানে জয়-পরাজয়ের ব্যবধানও সামান্য।
অকল্যান্ডে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টির পর সিরিজ ছিল ১-১ সমতায়। বুধবার প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল ৭ রানে, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতে ৩ রানে।
নেলসনে আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেও দুই দলের লড়াই জমে উঠেছিল। টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর লোয়ার অর্ডারে রোমারিও শেফার্ড ও শামার স্প্রিঙ্গারের রেকর্ড জুটি তো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রায় জিতিয়েই দিচ্ছিল।
কিন্তু স্নায়ুচাপ ধরে রেখে, শেফার্ড-স্প্রিঙ্গারের চোখ রাঙানি থামিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯ রানে জয় পেল নিউজিল্যান্ড।
স্যাক্সটন ওভালে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৭ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়ায় ড্যারিল টাফির গতি আর ইশ সোধির ঘূর্ণিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ বল বাকি থাকতে ১৬৮ রানে অলআউট হয়। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কিউইরা।
শেফার্ড ও স্প্রিঙ্গার নবম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৭৮ রান, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তো বটেই; টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
নবম উইকেট জুটিতে আগের সর্বোচ্চ ৭২ রানও ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সেখানেও জড়িয়ে শেফার্ডের নাম। ২০২২ সালে বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে শেফার্ড জুটিটা গড়েছিলেন আকিল হোসেনকে নিয়ে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছিল ১ রানে, আজ নিউজিল্যান্ডের কাছে হারল ৯ রানে।
লেগ স্পিনে গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ঝড়ের আভাস দেওয়া আকিম অগাস্টের রানআউটে অবদান রেখে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইশ সোধি।
নেলসনেই সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ আগামীকাল সকালে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭৭/৯ (কনওয়ে ৫৬, মিচেল ৪১, রবীন্দ্র ২৬, রবিনসন ২৩; ফোর্ড ২/২০, হোল্ডার ২/৩১, শেফার্ড ১/২৩, স্প্রিঙ্গার ১/৩৬)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯.৫ ওভারে ১৬৮ অলআউট (শেফার্ড ৪৯, স্প্রিঙ্গার ৩৯, অ্যাথানেজ ৩১, অগাস্টে ২৪; সোধি ৩/৩৪, ডাফি ৩/৩৬, ব্রেসওয়েল ১/৭, স্যান্টনার ১/২৯)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইশ সোধি।
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে।