- স্বাগত
- টস
- একাদশে তিন পরিবর্তন
- ডাম্বুলায় সাপ
- প্রিভিউ
- পারভেজ বোল্ড
- শুরুতেই চাপে বাংলাদেশ
- হৃদয়ের ব্যাটে এল প্রথম বাউন্ডারি
- পাওয়ার প্লে
- দর্শকরা ঢুকে পড়ছেন টিকিট ছাড়াই
- জীবন পেয়েছেন লিটন
- তাওহীদ হৃদয় আউট
- লিটনের ফিফটি
- ৪ ওভারে কত করবে বাংলাদেশ
- ঝোড়ো ব্যাটিং করছেন শামীম–লিটন
- লিটন আউট
- বাংলাদেশের ১৭৭
- ৮ রান নিয়ে শুরু শ্রীলঙ্কার
- ২ উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ
- তৃতীয় উইকেট পেল বাংলাদেশ
- এবার রিভিউ নিয়ে সফল বাংলাদেশ
- ১০ ওভারে শ্রীলঙ্কার ৬৭
- এবার উইকেট পেলেন রিশাদ
- ৮৩ রানের জয় পেল বাংলাদেশ
স্বাগত
বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টির সরাসরি ধারাবিবরণীতে স্বাগতম সবাইকে।
দুই টেস্টের সিরিজে ১–০ আর তিন ওয়ানডের সিরিজে ২–১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও পাল্লেকেলেতে প্রথম ম্যাচটা বাংলাদেশ হেরে গেছে ৭ উইকেটে। ডাম্বুলায় আজ বাংলাদেশের জন্য সিরিজে টিকে থাকার লড়াই।
টস
দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে টস জিতেছে শ্রীলঙ্কা। শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কা। প্রথম ম্যাচের মতো আজও বাংলাদেশকে আগে ব্যাট করতে নামতে হবে।
একাদশে তিন পরিবর্তন
দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসানের সঙ্গে আজ নেই মোহাম্মদ নাঈম। তিন বছর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি–টোয়েন্টিতে ফিরেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। ওই ম্যাচে ২৯ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাসকিন ৪ ওভারে ৪৩ ও তানজিম ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।
তাঁদের জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন জাকের আলি, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান। ঊরুর মাংসপেশিতে টান লাগায় আগের ম্যাচের একাদশে ছিলেন না জাকের। আজ তাঁর উইকেটরক্ষক হিসেবেই খেলতে হবে ওই চোটের কারণেই।
শ্রীলঙ্কা তাঁদের একাদশে কোনো বদল আনেনি।
বাংলাদেশ একাদশ: পারভেজ হোসেন, তানজিদ হাসান, লিটন দাস, জাকের আলি, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ডাম্বুলায় সাপ
বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা পূর্ণাঙ্গ সিরিজটি কাভার করছেন প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদক তারেক মাহমুদ। এই ম্যাচটি কাভার করতে তিনি আছেন ডাম্বুলায়। খেলা শুরু হতে এখনও কিছুটা সময় বাকি, এই সময়ে পড়ে ফেলতে পারেন ডাম্বুলায় সাপের ভয় নিয়ে লেখা তাঁর প্রতিবেদন।
প্রিভিউ
ম্যাচ শুরু হতে আর মিনিট পাঁচেক বাকি। প্রথম ম্যাচ হেরে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ কি এই ম্যাচ জিতে সিরিজে ফিরেত পারবে? এজন্য বাংলাদেশের দুটি মন্ত্র। পড়তে পারেন তারেক মাহমুদের প্রতিবেদন...
পারভেজ বোল্ড
ওভারের শুরুটা হয়েছিল তানজিদ হাসান ৩ রান নিয়ে। পরের বলে লেগ বাই থেকেও একটি রান আসে। এক বল পর তানজিদ রান নিলে আবার স্ট্রাইকে আসেন পারভেজ। কিন্তু রানের খাতা খোলার আগেই তিন বলে শূন্য রানে বোল্ড হয়ে গেছেন পারভেজ।
প্রথম ওভারশেষে ৫ রানে ১ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
শুরুতেই চাপে বাংলাদেশ
এবার তানজিদ হাসানও আউট হয়ে গেলেন। দুই ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। দুজনই ফিরেছেন ওভারের শেষ বলে। বিনুরা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের গুড লেন্থের বলে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন তানজিদ। তবে তা তাঁর ব্যাটে ঠিকঠাক লাগেনি। শর্ট থার্ডম্যানে দাঁড়ানো কুশাল পেরেরা দারুণ এক ক্যাচ নেন।
পারভেজ আউট হওয়ার পরই ক্রিজে আসেন লিটন দাস, তিনিও ভালো ফর্মে নেই। তাঁর সঙ্গী হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়, ফর্ম তাঁরও ভালো না। প্রথম টি–টোয়েন্টিতে যথাক্রমে ১১ বলে ৬ ও ১৩ বলে ১০ রান করেছিলেন তাঁরা।
হৃদয়ের ব্যাটে এল প্রথম বাউন্ডারি
দুই ওপেনার আউট হয়ে গিয়েছিলেন। কেটে গিয়েছিল তিন ওভার। তবুও বাউন্ডারির দেখা পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। সেটি এল তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে। দাসুন শানাকার করা ৩.৩ ওভারে এগিয়ে এসে মিড অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরেছেন, পরের বলেই এসেছে একটি চারও।
বাংলাদেশ স্কোর : ৪ ওভারে ২৩/২
পাওয়ার প্লে
প্রথম দুই ওভারেই ফিরেছিলেন ওপেনাররা। এরপর ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। তাওহীদ হৃদয়–লিটন দাস বাউন্ডারি আনছেন— যদিও ওভারপ্রতি রানের গতি এখনও কম। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান করেছে বাংলাদেশ। ফিল্ডারা ছড়িয়ে পড়ার পর রানের গতি কেমন হয়, সেটিই এখন দেখার। আগের ম্যাচেও প্রথম ৬ ওভারে ৫৪ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ, তবে শেষ পর্যন্ত থেমেছিল ১৫৪ রানে।
দর্শকরা ঢুকে পড়ছেন টিকিট ছাড়াই
বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে খুব একটা ভালো শুরু করতে পারেনি। শ্রীলঙ্কার দর্শকদের আগ্রহ কি এজন৵ও আরও বেড়ে গেল? বেড়ার নিচের মাটি খুঁড়ে বিনা টিকিটেই মাঠে ঢুকে পড়ছেন তাঁরা।
জীবন পেয়েছেন লিটন
ভ্যান্ডারসের বলে এগিয়ে এসেছিলেন লিটন দাস। বুঝতে পেরে ওয়াইড করে দেন বোলার। উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিস বল ধরলেও স্টাম্পে লাগানোর আগেই বল হাত থেকে পড়ে যায়। বেঁচে যান লিটন।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। পাওয়ার প্লের পর রানের গতি যদিও কমে গেছে আরও। ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান করেছে বাংলাদেশ। ২২ বলে ২৯ রানে হৃদয় ও ২৭ বলে ৩২ রানে অপরজিত আছেন লিটন।
তাওহীদ হৃদয় আউট
লিটন দাসের সঙ্গে তাওহীদ হৃদয়ের জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এই জুটিও ভেঙে গেল হৃদয়ের আউটে। বিনুরা ফার্নান্দোর বলে তানজিদের মতো তিনিও ক্যাচ দিয়েছেন শর্ট থার্ডম্যানে দাঁড়ানো কুশল পেরেরার হাতে। ৫৫ বলে লিটন–হৃদয়ের ৬৯ রানের জুটি ভেঙেছে তাতে।
এরপর উইকেটে আসা মেহেদী হাসান মিরাজও আউট হয়ে গেছেন দুই বল পরই। স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে এসেছেন শামীম হোসেন।
বাংলাদেশ স্কোর : ১২ ওভারে ৮০/৪
লিটনের ফিফটি
ছক্কায় পঞ্চাশ পেরোলেন লিটন। ভীষণ চাপের সময় উইকেটে এসেছিলেন। তবে নিজে একপ্রান্তে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই ম্যাচের আগেও প্রধান কোচ ফিল সিমন্স জানিয়েছিলেন, তিনিও লিটনের আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখেন। তবে তাঁর আশা ছিল, এই ম্যাচে সামর্থ্যের প্রমাণ দেখাবেন, সেটি লিটন দেখালেনও। এখন দলকে একটা ভালো সংগ্রহ এনে দিতে পারলেই পূর্ণতা পাবে তা।
২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি পেয়েছিলেন লিটন দাস। এরপর ১৩ ইনিংস অপেক্ষার পর আবার পঞ্চাশ ছুঁলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে এটি তাঁর প্রথম ফিফটি। সবমিলিয়ে এই সংস্করণে বাংলাদেশ অধিনায়কের ১২তম ফিফটি এটি।
৪ ওভারে কত করবে বাংলাদেশ
শুরুর চাপ বাংলাদেশ অনেকটাই সামলে নিয়েছে। লিটন দাস ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন। ফিফটি পাওয়ার পর আরও চালিয়ে খেলছেন। তাঁর সঙ্গে আছেন ১৪ বলে ২২ রান করা শামীম হোসেন। ১৬ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১২৮ রান বাংলাদেশের, বাকি ৪ ওভারে কতদূর যাবে তাঁরা? ১৬০ নিশ্চয়ই পেরোতে চাইবেন তাঁরা। ধারাভাষ্যকাররাও বারবার তেমন কিছুর কথাই বলছেন।
ঝোড়ো ব্যাটিং করছেন শামীম–লিটন
ওভারের শুরুটা ভঅলোই করেছিলেন নুয়ান তুষারা। প্রথম তিন বলে এসেছিল দুই রান। কিন্তু এরপর টানা দুই বলে চার ও ছক্কা মেরেছেন শামীম। শেষ বল থেকেও এসেছে এক রান। সবমিলিয়ে ৬ বলে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৭ রান। ১৭ ওভারে ৪ উইকেটে রান এখন ১৪১। ওভার বাকি তিনটি। ১৭০ কি পেরোতে পারবে বাংলাদেশ?
লিটন আউট
দুই ওপেনারকে হারানোর পর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটি বেধেছেন। নিজের হাফ সেঞ্চুরিও পূর্ণ হয়। এরপরও দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। তবে ইনিংসের শেষটা করতে পারলেন না, ১১ বল বাকি থাকতে আউট হয়ে গেছেন লিটন। ৫০ বলে ৭৬ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের ১৭৭
দুই বলে দুই রান আউট শেষ ওভারে। তবে শামীম ও সাইফউদ্দিনের ব্যাটে চড়ে এল ১৪ রান। বাংলাদেশ থামল ১৭৭ রানে। সেটিও শুরুতে মনে হচ্ছিল বেশ দূরের পথ। প্রথম দুই ওভারেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর তাওহীদ হৃদয় ও লিটন দাসের ৫৫ বলে ৬৯ রানের জুটিতে কক্ষপথে ফেরে। হৃদয় আউট হয়ে গেলেও ১৩ ইনিংস পর ফিফটি পান লিটন।
পরে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন শামীম হোসেনও। লিটনের ৫০ বলে ৭৬ ও শামীমের ২৭ বলে ৪৮ রানের জুটিতে লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৭৭/৭ (লিটন ৭৬, শামীম ৪৮, হৃদয় ৩১; ফার্নান্ডো ৩/৩১)
৮ রান নিয়ে শুরু শ্রীলঙ্কার
রান তাড়া শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ওভারে তাঁরা ৮ রান নিয়েছে। আগের ম্যাচের চেয়ে আজ আরও বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে জিততে হলে তাঁদের একটা ‘ওষুধ’ খুঁজে বের করতে হবে। এ নিয়ে পড়তে পারেন তারেক মাহমুদের প্রতিবেদন।
২ উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ
বোলিংয়েও শুরুটা ভালো করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে পয়েন্ট থেকে শামীমের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়েছেন ৮ বলে ৫ রান করা মেন্ডিস। শরিফুলের করা পরের ওভারে রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে গেছেন ৪ বলে শূন্য রান করা কুশল পেরেরা।
তৃতীয় উইকেট পেল বাংলাদেশ
তৃতীয় উইকেটের জন্যও বাংলাদেশের অপেক্ষা করতে হলো না বেশিক্ষণ। মোস্তাফিজের করা আগের ওভারেই আভিস্কা ফার্নান্দোর ক্যাচ ছাড়েন পারভেজ। ওই মূল্য বাংলাদেশকে খুব বেশি চোকাতে হয়নি— শরিফুলের পরের ওভারে স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো শামীম ক্যাচ নিয়েছেন আভিস্কার। ২৫ রানে তিন উইকেট নেই শ্রীলঙ্কার।
এবার রিভিউ নিয়ে সফল বাংলাদেশ
সাইফউদ্দিনের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের ইয়র্কার লেন্থের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন আসালাঙ্কা। কিন্তু বল যায় উইকেটের পেছনে। লিটন দাস ও সাইফউদ্দিন আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া দেননি। এগিয়ে এসে লিটনকে রিভিউ নিতে বলেন মিরাজ। রিপ্লেতে দেখা যায়, সাইফউদ্দিনের বল আসালাঙ্কার ব্যাট ছুঁয়েই বল গেছে লিটনের হাতে। ৩০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা।
১০ ওভারে শ্রীলঙ্কার ৬৭
১০ ওভারের খেলা শেষ হয়েছে। ৪ উইকেটে ৬৭ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। জয়ের জন্য বাকি ১০ ওভারে ১১১ রান দরকার তাঁদের। শুরুতে উইকেট হারানোর চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দাসুন শানাকা।
এবার উইকেট পেলেন রিশাদ
চার উইকেট হারানোর পর পড়ে যাওয়া চাপ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল শ্রীলঙ্কা। পাথুম নিশাঙ্কা ও দাসুন শানাকাই আশা দেখাচ্ছিলেন। ওই আশাও শেষ করে দিয়েছেন রিশাদ— এক ওভারেই দুই উইকেট নিয়েছেন। ২৯ বলে ৩২ রান করা নিশাঙ্কা তাঁর বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন। এক বল পর চামিকা করুণারত্নে রিশাদের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তাঁর হাতেই।
পরের ওভারে এসে উইকেট পেয়েছেন মিরাজও। দাসুন শানাকা আউট হয়ে গেছেন, সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ড্রেসিংরুমে ফিরছেন তিনি। হতাশায় মাঠ ছাড়ছেন শ্রীলঙ্কার দর্শকরা। বাংলাদেশ যে জয়ের খুব কাছে, তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
৮৩ রানের জয় পেল বাংলাদেশ
জয় একরম নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল। রিশাদের বলে বিনুরা ফার্নান্দো স্টাম্পিং হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। প্রথম টি–টোয়েন্টিতে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৮৩ রানের জয়ে তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ের শুরুর সময়টুকু বাদ দিলে পুরো ম্যাচজুড়েই দাপট ছিল বাংলাদেশের। ১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা শ্রীলঙ্কাকে শুরুতেই চেপে ধরেন শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২৫ রানেই ৪ উইকেট হারানোর পর নিশাঙ্কা ও শানাকার ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানো আশা দেখছিল শ্রীলঙ্কা।
তবে এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন রিশাদ। ততক্ষণে বাড়ি ফিরতে শুরু করেন ডাম্বুলার দর্শকরা। জয় পেতে খুব বেশি সময় লাগেনি বাংলাদেশের। ৯৪ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। রিশাদ ৩, শরিফুল ইসলাম ও সাইফউদ্দিন পান দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৭৭/৭ (লিটন ৭৬, শামীম ৪৮, হৃদয় ৩১; বিনুরা ৩/৩১)। শ্রীলঙ্কা: ১৫.২ ওভারে ৯৪ (নিশাঙ্কা ৩২, শানাকা ২০; রিশাদ ৩/১৮, শরিফুল ২/১২, সাইফুদ্দিন ২/২১) ফল: বাংলাদেশ ৮৩ রানে জয়ী
পুরো দলকে কৃতিত্ব দিলেন লিটন
ম্যাচসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন লিটন দাস। এরপর বাংলাদেশ অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে জানিয়েছেন, গত কয়েক ম্যাচ ধরেই ভালো ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করছিলেন। তবে ম্যাচের মোমেন্টাম বদলে দেওয়ার জন্য তিনি কৃতিত্ব দিয়েছেন শামীম হোসেনকে। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর সরাসরি থ্রোতে রান আউট করে কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেটটাও এনে দিয়েছিলেন। রিশাদের গুরুত্বের কথাও আলাদা করে বলেছেন।
ওয়ানডের মতো টি–টোয়েন্টি সিরিজেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে হেরেছিল, টি–টোয়েন্টিতে কী হবে? উত্তর জানা যাবে ১৬ জুলাই। তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতেও থাকবে প্রথম আলোর এই সরাসরি ধারাবিবরণী। ততক্ষণ পর্যন্ত, বিদায়!