কোহলির পাশে রোহিত-পূজারা, বাবরের পাশে কে—প্রশ্ন সাবেক পাকিস্তান ওপেনারের
ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাবর আজমের ব্যর্থতার ময়নাতদন্ত করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার মহসিন খান।
মহসিন খান। পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার। বলিউডের অভিনেতা। অবসরের পর দশকের পর দশক পেরিয়ে গেলেও ক্রিকেট তাঁর কাছে আগের মতোই আছে। ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখেন নিয়মিতই।
তাঁর দল পাকিস্তান এখন আর আগের মতো শক্তিশালী নয়। এ সময়ে দলটির সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজমও সম্ভাবনার সবটুকু অনূদিত করতে পারেননি আন্তর্জাতিক মঞ্চে। বিশ্বসেরা হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া বাবর জায়গা পাননি পাকিস্তানের এশিয়া কাপ দলেও।
বাবর কেন ব্যর্থ হলেন, সেই প্রশ্নের একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন এক পঞ্জিকাবর্ষে পাকিস্তানের হয়ে ১ হাজার রান করা প্রথম ব্যাটসম্যান মহসিন খান।
লর্ডসে পাকিস্তানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করা মহসিন বাবরের ব্যর্থতাকে শুধুই ‘বাবরের ব্যর্থতা’ বলতে নারাজ। তাঁর যুক্তি, পাকিস্তান দলে বাবরের কাছাকাছি মানের আর কেউ না থাকার প্রভাবই পড়েছে সাবেক অধিনায়কের ব্যাটে। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাবরের ব্যর্থতার ময়নাতদন্তই করেছেন মহসিন খান।
সেখানে মহসিন খান যুক্তি তুলে ধরেছেন কেন বাবর ব্যর্থ হলেন, ‘বাবর খারাপ ব্যাটসম্যান নয়। কিন্তু আশপাশে মানসম্পন্ন ব্যাটসম্যান না থাকলে একা কিছু করার সুযোগ নেই। কোহলির কথা ভাবুন, তাঁর পাশে ছিল পূজারা, রাহানে, রোহিত, ধাওয়ান। পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনে এখন বাবরের আর বাকিদের মধ্যে পার্থক্য অনেক বেশি।’
প্রত্যাশার চাপও বাবরের পথে বাধা হয়েছে মনে করেন মহসিন, ‘সব ম্যাচে সেঞ্চুরির প্রত্যাশা চাপ তৈরি করে। তারা মানুষ, সব সময় তা সম্ভব নয়।’
বাবরকে দুর্ভাগা বলে পাকিস্তান ক্রিকেটের সোনালি সময়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে ১২৩ ম্যাচ খেলা মহসিন, ‘আমাদের সময়ে মাজিদ খান, জাভেদ মিয়াঁদাদ, জহির আব্বাসরা ছিলেন। এরপর এল সাঈদ আনোয়ার, ইনজামাম-উল-হক, মোহাম্মদ ইউসুফ ও ইউনিস খানরা। সফল দল হতে একই মানের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় দরকার হয়। এখন তো বাবর আর অন্যদের মধ্যে অনেক তফাত।’