জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে শুরুটা ভালোই করেছেন সৌম্য সরকার। এশিয়া কাপের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া এই ওপেনার আজ ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে খুলনার হয়ে করেছেন ৩৩ বলে ৪৫ রান।
শুক্রবার রাজশাহীর বিপক্ষে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৩৪ বলে ৬৩ রানের ইনিংস। সেটি ছিল এবারের টুর্নামেন্টে সৌম্যর প্রথম ইনিংস। সেদিনের ফিফটিতে তাঁর দল না জিতলেও আজ জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।
টসে হেরে আগে ব্যাটিং করা খুলনা করে ৫ উইকেটে ১৭১ রান। ঢাকা মেট্রো রান তাড়া করতে নেমে ১৯.১ ওভারে ১৪৯ রানের গুটিয়ে যায়। খুলনার ২২ রানের জয়ের ম্যাচে রান পেয়েছেন এনামুল হকও।
২৬ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন এনামুল। আগের ইনিংসে ফিফটি করা আফিফ হোসেন আজ খেলেছেন ২৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। এ ছাড়া ওপেনার ইমরানুজ্জমান করেছেন ৩৬ রান। সৌম্যর সঙ্গে ৮.৫ ওভারে তাঁর ৭১ রানের ওপেনিং জুটিই খুলনাকে বড় সংগ্রহের ভিত দেয়। ঢাকা মেট্রোর পেসার আবু হায়দার নিয়েছেন ২ উইকেট।
রান তাড়ায় ঢাকা মেট্রোর ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম শুরুতে রানআউট হলেও তাদের শুরুটা খারাপ হয়নি। ৮.২ ওভারে ১ উইকেটে ৭০ রান তুলে ফেলে দলটি। তবে ২৮ রানে আনিসুল ইসলাম ও অধিনায়ক মোহাম্মদ নাঈম ৩৩ রানে ফিরে গেলে জয়ের পথ কঠিন হয়ে যায় তাদের।
সেই কঠিন কাজটা শামসুর রহমান, সাদমান ইসলামেরাও করতে পারেননি। ৩ উইকেটে ১০৩ থেকে ১১৭ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেন তাঁরা। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩.১ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। তিন ম্যাচে এটি খুলনার প্রথম জয়। টুর্নামেন্টে খুলনার প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়। ঢাকা মেট্রোর এটি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় হার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা: ২০ ওভারে ১৭১/৫ ( সৌম্য ৪৫, এনামুল ৪৯; আবু হায়দার ২/৪৩)
ঢাকা মেট্রো: ১৯.১ ওভারে ১৪৯/১০ (নাঈম ৩৩, আনিসুল ২৮; মৃত্যুঞ্জয় ৩/২২)
ফল: খুলনা ২২ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: এনামুল হক।