ভালো ব্যাটসম্যানরা কি অন্ধকারেও দেখতে পান

প্রথম আলো গ্রাফিকস
সব বল খেলার দরকার নেই। কিন্তু সব বলেই ব্যাটসম্যানের বিচার-বিবেচনাটা লাগে। খেলবেন কি খেলবেন না। খেললেও কীভাবে? আর এই খেলা কিংবা কীভাবে খেলবেন, সেই সিদ্ধান্তটা ঠিক হয় চোখের দেখায়। অর্থাৎ, বলটাকে দেখা। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসলেই কি অত অল্প সময়ের মধ্যে বল দেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে শট খেলা সম্ভব? নাকি অনুশীলন করতে করতে ব্যাটসম্যানরা অনুমানের ওপরই লাইন-লেংথ যাচাই করে ফেলেন? অস্ট্রেলিয়ার খ্যাতিমান ক্রিকেট সাংবাদিক ও লেখক জ্যারড কিম্বারের ‘দ্য আর্ট অব ব্যাটিং’ বইয়ের ‘আইজ’ অধ্যায়ে আছে এই প্রশ্নের উত্তর:

ভালো ব্যাটসম্যানরা অন্ধকারেও দেখতে পান

সাঈদ আনোয়ারের কখনো এমন লাগেনি। বলটা ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না! এমন না যে বলটা খুব জোরে আসছে। মন্থর গতি। কিন্তু হাত থেকে বের হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। কিছু একটা বাধা দিচ্ছে। পাকিস্তান ব্যাটসম্যানের জীবনে কম অভিজ্ঞতা হয়নি। কিন্তু এমন কিছু এই প্রথম।

তাঁর মাপের খেলোয়াড়ের জন্য এটা আর যাই হোক স্বাভাবিক নয়। টেস্টে ওপেনার হিসেবে গড় পঞ্চাশের ওপরে। ১১ বছরে ৫৫ ম্যাচ ছোটখাটো ক্যারিয়ারের সাক্ষ্য দিলেও ৪৫.৫০ গড়ে ৪ হাজার রান তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে। অভিষেকে ‘পেয়ার’ মেরে তিন বছর দলের বাইরে না থাকলে ম্যাচসংখ্যা আরও বাড়তে পারত। আনোয়ার তাঁর প্রতিভার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ম্যাচগুলো খেলতে পারলে গ্রেট হতেন---এই কথার অর্থ হলো, নব্বই দশকে ২ হাজার রান করা ওপেনারদের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা গড়ের ব্যাটসম্যানকে ছাড়াই অনেক টেস্ট খেলেছে পাকিস্তান।

ওপেনারদের মান যাচাই করার একটা পথ হলো ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের পারফরম্যান্স। নতুন বলে ওসব জায়গাই সবচেয়ে কঠিন কন্ডিশন। এই তিন জায়গা মিলিয়ে আনোয়ারের  গড় ৪২। অস্ট্রেলিয়ায় তিন ম্যাচে একটি সেঞ্চুরিও আছে। ঘরের চেয়ে বাইরে তাঁর গড় বেশি, এশিয়ার কোনো ওপেনারের জন্য অচিন্তীয়।

যে কজন ওপেনার ওয়ানডে খেলার ধাঁচ পাল্টেছেন, তাদের মাঝে আনোয়ারের নামটা এখন আর বলা হয় না। সবাই ভুলে গেছে। শ্রীলঙ্কার হয়ে সনাৎ জয়াসুরিয়া ওপেন করার আগে ৮৫ স্ট্রাইক রেটে তাঁর হাজার রান ছিল; ওয়ানডেতে তখন যেটা বিঘৎ ব্যবধানে দ্রুততম।

তবে সাঈদ আনোয়ার মানে শুধু সংখ্যা নয়। ২০২০ সালে ওসমান সামিউদ্দিন যেমন ‘ইজ সাঈদ আনোয়ার ক্রিমিনালি আন্ডাররেটেড’ লেখায় বলেছেন—

সাঈদ আনোয়ার
এএফপি

‘পা নড়ে না। জোর নেই। শুধু একটা ঝটকা ছোঁয়া। ব্যাটটা সামান্য কাত হলো, আর বলটা ছুটে বাউন্ডারি হলো থার্ডম্যানের চোখ ধাঁধিয়ে। এমন অল্পতে তুষ্টির শটেও কেমন নান্দনিকতা!’

সাঈদ আনোয়ার তাই শেন ওয়ার্নের কাছে তাঁর বোলিংয়ের মুখোমুখি হওয়া সেরা পাকিস্তানি। ওয়ার্নও সংখ্যায় তাকাননি। আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, ‘সংখ্যা নয় ওর স্টাইলটা মনে থাকে।’

কিন্তু সাঈদ আনোয়ার একজন বোলারকে পড়তে পারতেন না। শ্রীলঙ্কান জাদুকর মুত্তিয়া মুরালিধরন।

আরও পড়ুন

টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যত না পাল্টালে মুরালির ৮০০ উইকেটের রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে না। তাঁর হালকা ছন্দের রান আপ দেখে ক্রিজে দাঁড়িয়ে বোঝা যেত না কী আসছে। অ্যাকশন? পৃথিবীতে তাঁর মতো বোলিং অ্যাকশন আর কারও নেই। 

তাঁর কনুই বাঁকত কি? সেটা কি নো বল ডাকার মতো যথেষ্ট? এসবে মনোযোগ ছিল বেশির ভাগের। সেই ফাঁকে কিছু একটা যে উল্টে যেত, তা চোখে পড়েছে কজনের? 

পেসারদের কবজির নিচটা থাকে ব্যাটসম্যানের মুখোমুখি, লেগ স্পিনারের কবজির ডান ব্যাটসম্যানের দিকে থাকলেও বোলিংয়ের সময় উল্টে যায় আর অফ স্পিনাররা তার উল্টো। কবজির ডান দিকটা ব্যাটসম্যানের দিকেই থাকে। আনোয়ার টেস্ট দলে আসতে আসতে এসব তাঁর মস্তিস্কে গেঁথে যায়। অবচেতনভাবেও বুঝে যেতেন কী আসছে, কোথায় দেখতে হবে। 

মুত্তিয়া মুরালিধরন
আইসিসি

মুরালিও অফ স্পিনার। তবে প্রচলিতদের থেকে আলাদা। প্রচলিতরা বল ছাড়েন আঙুলের ভেতরে বল ঘুরিয়ে, কোমরও বাঁকে অনেক। কিন্তু মুরালি ছাড়েন ‘রং ওয়ান’ এর মতো, ব্যাক অব দ্য হ্যান্ড। খেলার সময় তাঁর হাতের উল্টো পিঠ দেখতে হচ্ছে।

বলটা আসত হাতের পেছন থেকে। (ব্যাটসম্যানের) দেখায় আঙুলগুলো ছিল একরকম প্রতিবন্ধকতা। বুঝতে একটু দেরি হলেই একদম নিখুঁত লেংথের বড় বড় বাঁক নেওয়া ডেলিভারির মুখোমুখি হতে হবে। সাঈদ আনোয়ারের ক্ষেত্রে এটাই ঘটেছিল। মুরালিকে খেলায় ভয় এতটাই ছিল যে যেতে হয়েছিল চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে।

খেলার জন্য ব্যাটসম্যানকে তো আগে বলটা দেখতে হবে, তাই না? ঝামেলা হলো শুধু বলটা দেখলেই হয় না। ব্যাটসম্যানের কাজটা আরও জটিল।

আরও পড়ুন

ড: শেরিল কালডার নামজাদা সব ক্রীড়াবিদের সঙ্গে কাজ করেছেন। ক্রীড়াবিদদের কোথায় দেখতে হবে সেটা ধরিয়ে দেওয়াই তাঁর ‘আই জিম’ প্রতিষ্ঠানের কাজ। ক্রিকেটের দুই পাগল বিজ্ঞানী বব উলমার ও জন বুকাননের সঙ্গেও কাজ করেছেন। উলমার এবং শেরিল বুঝে ফেলেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল এত দ্রুত আসে যে চোখে অনুসরণ করা সম্ভব না। ব্যাডমিন্টন, বেসবল ও টেনিসেও একই ব্যাপার।

বেশির ভাগ মানুষের প্রতিক্রিয়ার সময় ২০০ মিলিসেকেন্ড। একবার চোখ বুঁজে খুলতে লাগে ১৫০ মিলিসেকেন্ড সময়। এখন ধরুন মিচেল স্টার্ক বা জফরা আর্চার ঘণ্টায় ১৫০ কিমিতে ছাড়ছে। বলটা বোলারের হাত থেকে ব্যাটসম্যান পর্যন্ত সময় লাগছে ৫০০ মিলিসেকেন্ড বা তারও কম।

এত অল্প সময়ে বলটা দেখে কীভাবে শট খেলা সম্ভব?

শরীরের অন্য পেশিগুলোর ট্রেনিং হয়, চোখও কিন্তু একটা পেশি।
নাসের হুসেইন, ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক

বল ছাড়ার ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিসেকেন্ডের মধ্যে ব্যাটসম্যানের মুভমেন্ট ঠিক হয়ে যায়। বেশির ভাগ পেশাদার ব্যাটসম্যান টেস্টে বল ছাড়ার আগেই লেংথটা বুঝে ফেলেন। লাইনটাও হবে অফ স্টাম্পের বাইরে সেটাও তাঁরা জানেন। বোলার ভিন্নরকম কিছু করলে সেটা তাঁদের শরীরী কিছু মুভমেন্টেই স্পষ্ট হয়। সব ব্যাটসম্যান তা বুঝতে না পারলেও বলের গতিপথের প্রথম ভাগে বুঝতে পারেন বলটা কেমন হবে। তাতে মস্তিস্কের অবেচতন অংশে চেনা প্রতিক্রিয়াটাই ফিরে আসে।

ব্যাটসম্যান আসলে অনুমান করে ক্রিকেট খেলছেন।

পেশাদার ও অপেশাদারের পার্থক্য এখানেই। গবেষণায় দেখা গেছে, বল ছাড়ার সঙ্গে আলো নিভিয়ে দেওয়া হলে খুব ভালো মানের অপেশাদারও (ব্যাটসম্যান) ভুল করেন। বুঝতে পারেন না কোন শটটা খেলা উচিত। কিন্তু পেশাদারের ক্ষেত্রে উল্টো। জায়গামতো গিয়ে একদম সঠিক শট।

ডন ব্র্যাডম্যান
আইসিসি ফেসবুক পেজ

আমরা ভাবি ব্যাটসম্যানের দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ম, প্রতিক্রিয়া দুর্দান্ত। কিন্তু কারও কারও দেখার ক্ষমতা গড়েরও নিচে ছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ডন ব্র্যাডম্যানের দৃষ্টিশক্তিকে বলা হয়েছিল ‘দুর্বল’। যুদ্ধের পর ১৫ টেস্টে তাঁর গড় ছিল ১০৫। ভারতের নবাব মনসুর আলি খান পতৌদির দূর্ঘটনায় এক চোখ নষ্ট হওয়ার পর ৬টি টেস্ট সেঞ্চুরি আছে।

তাই বলে চোখের গুরুত্ব নেই, তা নয়।

আরও পড়ুন

সত্তুর দশকে লরেন্স রো-র ব্যাটিং কবিতার মতো সুন্দর। বল খেলার সময় যেন ব্যাটই ছোঁয়াতেন না। পরিসংখ্যানও অবিশ্বাস্য। দেখে মনে হতো কেউ থামাতে পারবে না। কিন্তু থেমে গিয়েছিল শরীর। চোট এবং ভুল চিকিৎসা, ঘাসে অ্যালার্জি!

গ্যারি সোবার্স, ডন ব্র্যাডম্যানদের সঙ্গে নাম উচ্চারিত হলেও নিজের ছায়া হয়ে গিয়েছিলেন রো। ধারাভাষ্য কিংবদন্তি টনি কোজিয়ারের চোখে, ‘রোয়ের চেয়ে ভালো কেউ ছিল না।’ তবে এটাও বলেছিলেন, ‘ব্যথতার ভয় তাঁকে গ্রাস করেছিল।’

তবে সবাই এমন নয়। কেউ কেউ আছেন, অনেক কিছু অন্যভাবেও দেখেন। যেমন গ্রাহাম গুচ ও নাসের হুসেইন। এসেক্সে থাকতে একবার ওয়াসিম আকরামের মুখোমুখি হতে হলো তাদের। হুসেইন সুইং বুঝতে পারছিলেন না। গুচ বললেন, ‘ও দৌড়াতে শুরু করে হাত লুকানোর আগেই ভালো করে দেখো। কিছু না কিছু সূত্র থাকবে।’

হুসেইন দেখলেন। তবু কিছুই দেখলেন না। সমস্যা হলো ওয়াসিম আকরামের খুব দ্রুত অ্যাকশন। হুসেইন কী দেখতে হবে জানতেন, কিন্তু কীভাবে দেখতে হবে তা অজানা। সব ব্যাটসম্যান তা জানেও না।

ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইন
এএফপি

ব্যাটসম্যান আসলে কী দেখেন?

ফিল্ডারদের অবস্থান। স্লিপ বেশি থাকলে বোঝেন বলটা অফ–স্টাম্পের বাইরে হবে। মিড-অন কিংবা মিড–অফ না থাকলে বোঝেন ফুল লেংথে পড়বে না। লেগে বেশি ফিল্ডার মানে বাউন্সার, এসব আর কি।

এরপর বোলারের রান আপ। কোণের পার্থক্য, বল ধরার ভঙ্গি, আঙুলের গ্রিপ, রিলিজের মুহূর্ত ; তাতে বোঝা যায় কতটা বাউন্স হবে।

মুন্সীয়ানাটা হলো এসব সূত্রকে এমনভাবে আয়ত্ত করতে হয় যেন চিন্তা ছাড়াই খেলা যায়। আর তাই ব্যাটসম্যানরা আসলে জানেন না কী দেখছেন, তবু সবই দেখছেন।

হুসেইন বলেছিলেন, ‘শরীরের অন্য পেশিগুলোর ট্রেনিং হয়, চোখও কিন্তু একটা পেশি।’

ব্যাটসম্যানদের ‘ভালো চোখ’ আছে বলা হলেও সেটা আসলে শিখে নেওয়া এক দক্ষতা। পা. কবজি যেটা যেখানেই থাকুক চোখ ঠিক জায়গায় না ধরলে ব্যাটসম্যানের সব বৃথা। ইংল্যান্ডের সাবেক উইকেটকিপার ম্যাট প্রায়রের কাছে ‘টিভি দেখা’। চারপাশ ঝাপসা করে (বল আসার) মাঝের জায়গাটা দেখা।

কিন্তু কাজটা সহজ নয়। ব্যাটসম্যানের সামনে কত কিছু! ফর্ম হারালে তাদের এই জায়গাতেও ভাঙন ধরে। চোখ ঠিক জায়গায় তাকাতে পারে না।

এটা ড. শেরিলের কাজের জায়গা। তিনি শেখান, খেলোয়াড়দের কীভাবে তাকাতে হবে। বলকে অনুসরণের কৌশল ও চোখের ‘জাম্প’ (সাকেড) নিয়ন্ত্রণ শেখান।

যত অস্বাভাবিক অ্যাকশন, ব্যাটসম্যানের জন্য বোঝার সূত্র তত কম।

বীরেন্দর শেবাগ
এএফপি

২০০৮ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অজন্তা মেন্ডিস নিলেন ৬ উইকেট। ভারতের ৩২৯ রানে বীরেন্দর শেবাগের একারই ২০১। শেবাগ মেন্ডিসকে থিতু হতে দেননি। পিটিয়েছেন বুদ্ধিদীপ্ত সব শটে। নিউজিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান রস টেলর পরে বলেছিলেন, ‘শেবাগ মেন্ডিসকে শুধু অফ স্পিনারই ভেবেছিল।’

মেন্ডিসের রহস্য উন্মোচনে টেলরের ভূমিকা ছিল। টেলর বের করেছিলেন, ক্যারম বল ছাড়ার সময় মেন্ডিসের আঙুল অ্যান্টেনার মতো জেগে ওঠে। ব্যাপারটা ক্রিকেটারদের ব্লাকবেরি নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়লেও টেলরের দাবি একটু বাড়াবাড়ি যোগ হয়েছে। টেলর মেন্ডিসের সব কিছু খেয়াল করার ঝামেলায় না গিয়ে তাঁকে শুধু অফ স্পিনার ভেবেই খেলেছেন। সংকল্প ছিল, বাইরে বের হওয়া বলগুলোয় ক্যাচ দেবেন না।

তবে এক বছর পর মেন্ডিসকে পড়া টেলরের জন্যও কঠিন ছিল। চোখে তখন ভর করেছে ‘পটেরেজিয়াম’ রোগ। টেলরের ভাষায়, ‘‘ব্যাটসম্যানের জন্য এর চেয়ে ভয়ংকর কিছু নেই। নাকের পাশ থেকে একধরনের টিস্যু বাড়তে বাড়তে চোখের ওপর চলে আসে, চোখ টেনে ধরে।’ রাতে আলোয় খেলতে কষ্ট হতো। বল ঠিকমতো দেখতে পেতেন না।

পরিসংখ্যানও তাই বলে। দিনের ওয়ানডেতে টেলরের গড় ৫৭। দিবা-রাত্রির ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৪৭, রাতে ব্যাটিংয়ে ৪০। ২০১৬ সালের আগে রাতের ম্যাচে গড় ছিল ৩৬.৩। চোখ ঠিক হওয়ার পর বেড়ে দাঁড়ায় ৫০.১।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার, চোখের সমস্যা ধরা পড়ার আগের দুই বছরে টেলরের গড় ৫১, চিকিৎসার পরের দুই বছরেও গড় ৫১। মানে চোখ খারাপ থাকতেও টেলর রান করেছেন।

সবচেয়ে ভালো ব্যাটসম্যানরা অন্ধকারেও দেখতে পান, যখন তাঁদের চোখও দেখে না।