বোনের মৃত্যু যেভাবে বদলে দিয়েছে শান মাসুদের জীবন

টি–টোয়েন্টিতে অভিষেকের অপেক্ষায় শান মাসুদছবি: টুইটার

জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে একজনের জীবন বদলে দিতে পারে। বদলে দিতে পারে জীবনকে দেখার চোখ এবং দর্শনও। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান শান মাসুদের জীবনও তেমনভাবে বদলে দিয়েছে একটি ঘটনা। বোনের মৃত্যুতে বড় ধাক্কা খেয়েছেন শান। এই আঘাতে বদলে গেছে তাঁর জীবনকে দেখার চোখও।

টেস্ট ও ওয়ানডেতে শান মাসুদের অভিষেক হয়েছে আরও আগে। টেস্টে তো সেই ২০১৩ সালে। যদিও গত বছরের জানুয়ারির পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি তাঁর। টেস্টে বিশেষায়িত ওপেনার হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায় শানের টি–টোয়েন্টিতে অভিষেকের অপেক্ষা যেন শেষই হচ্ছিল না।

অবশেষে এশিয়া কাপে ফখর জামানের ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং শেষ পর্যন্ত চোটে পড়ে ছিটকে যাওয়া টি–টোয়েন্টির দরজা খুলে দিয়েছে তাঁর জন্য। সঙ্গে অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে শানের দুর্দান্ত ছন্দে থাকার বিষয়টিও বলতে হবে। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে এক হাজারের বেশি রানের পাশাপাশি ঘরোয়া টি–টোয়েন্টিতেও দারুণ ছন্দে ছিলেন।

বোনের মৃত্যু বদলে দিয়েছে শানকে
ছবি: টুইটার

বিশ্বকাপে তো যাচ্ছেনই, বিশ্বকাপের আগেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অভিষেক হতে পারে ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের। দলে জায়গা পেয়ে শান জানালেন জীবন নিয়ে তাঁর উপলব্ধির কথা। কীভাবে বোনের মৃত্যুতে জীবন বদলে গেছে, শুনিয়েছেন সেই গল্পও। করাচিতে এক সংবাদ সম্মেলনে শান বলেছেন, ‘সময়ের সঙ্গে আমি অনেক কিছু শিখেছি এবং ব্যক্তি ও খেলোয়াড় হিসেবে পরিণত হয়ে উঠেছি। এগুলো আমার জীবনে ক্রিকেটের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

নতুন সংস্করণে নিজেকে প্রমাণ করার কোনো চাপ বোধ করছেন কি না, জানতে চাইলে শান বলেছেন, ‘আমার বোনের মৃত্যুর পর সবকিছু ভিন্নভাবে দেখতে শুরু করেছি। নিজের দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়াটাকে কিংবা নিজের পছন্দের খেলাটা খেলতে পারা এবং এর থেকে আয় করতে পারাটা দারুণ অনুভূতির ব্যাপার। তবে ক্রিকেটে সফলতা বা ব্যর্থতার চেয়ে জীবন আরও বড় কিছু।’

আরও পড়ুন

বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটিতে চোখ থাকবে শানের ওপর। এই সিরিজে দারুণ কিছু করে দেখাতে পারলে বিশ্বকাপেও দলের আস্থাভাজন হয়ে উঠতে পারেন তিনি।

তবে এসব ভেবে বাড়তি কোনো চাপ নিতে চান না শান, ‘আপনি যখন সুযোগ পাবেন, আপনাকে নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করতে হবে। আর আপনি যদি পারফর্ম করতে না পারেন, তবে এর দায় আপনাকেই নিতে হবে। আর কেউ না। আমি যদি প্রত্যাবর্তনে ভালো কিছু করতে না পারি, কাউকে দোষারোপ করব না। আমি কেবল চেষ্টাটাই করে যেতে পারি, ফলটা আমার হাতে নেই। অ্যাথলেট হিসেবে আপনার ব্যর্থতার দায় অন্য কাউকে দিতে পারেন না। এটা পুরোটাই আপনার ব্যাপার।’

আরও পড়ুন

ইংলিশ কাউন্টি ডার্বিশায়ারের হয়ে দারুণ খেলেছেন শান। কাউন্টিতে কী শিখেছেন, জানতে চাইলেন বলেছেন, ‘আমি দারুণ কিছু খেলোয়াড়ের সঙ্গে এবং বিপক্ষে খেলেছি। মিকি আর্থার আমাকে দারুণ সহায়তা করেছেন, যা আমাকে বুঝতে সহায়তা করেছে, কীভাবে আমি নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি।’