খুলনাকে ফাইনালে তুললেন সেই অভিষেক

শেষদিকে ঝড় তোলেন খুলনাকে ফাইনালে তুলেছেন অভিষেকবিসিবি

লড়াই করার মতো পুঁজিই ছিল চট্টগ্রামের। ভালো ছিল বোলিংয়ের শুরুটাও। কিন্তু সিলেটে শেষ দিকে ২৪ বলে ৪৮ রানের সমীকরণ মিলিয়ে খুলনাকে জিতিয়ে দিয়েছেন অভিষেক দাস ও নাহিদুল ইসলাম।  

টস হেরে চট্টগ্রাম আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল। কিন্তু খুলনা রান তাড়ায় নামার আগেই শুরু হয় বৃষ্টি। ৯ ওভারে তাঁদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭৮ রানের। তাতে শুরুতে বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল খুলনা।

৫ ওভার শেষে দলের রান ৫ উইকেটে ৩০। তখনই খুলনার নায়ক হয়েছেন অভিষেক দাস। লম্বা সময় ইনজুরিতে থাকা অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য যখন উইকেটে আসেন তখন দলের জয়ের জন্য ২৪ বলে দরকার ছিল ৪৮ রান।

নাঈম হাসানের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে আফিফ হোসেন আউট হয়ে গেলে আরও বিপদে পড়ে খুলনা। ব্যাটিংয়ে নামেন নাহিদুল ইসলাম। নাঈমের ওভারের শেষ দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে চাপ কিছুটা সামলে নেন তিনিই। ১৮ বলে সমীকরণ নেমে আসে ৩৫ রানে।

নাহিদুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিষেক
বিসিবি

হাসান মুরাদের করা পরের ওভারে টানা দুটি ছক্কা মারেন অভিষেক দাস। একটি চার আসে নাহিদুলের ব্যাট থেকেও। এরপরও ১২ বলে ১৭ রানের সমীকরণটা ৩ বল আগেই মিলিয়েছেন অভিষেক ও নাহিদুল। ২০ বলে তাঁদের জুটি ছিল ৫১ রানের। ১১ বলের ইনিংসে ৩ ছক্কা আর ২ চারে ১১ বলে ২৭ রান করেন অভিষেক দাস। ৯ বলে ২১ রান আসে নাহিদুলের ব্যাট থেকেও।

এর আগে চট্টগ্রামের হয়ে ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন অধিনায়ক ইয়াসির আলী। ৩৩ বলে ইরফান শুক্কুরের ৩৯ রানের ইনিংসে দেড় শর কাছাকাছি সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। কিন্তু সেটিকে জয়ের জন্য যথেষ্ট হতে দেয়নি খুলনার নাহিদুল–অভিষেকের জুটি।

চট্টগ্রামের সামনে এখনো অবশ্য ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে। তবে এ জন্য আগামীকাল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাদের হারাতে হবে রংপুরকে।

আরও পড়ুন