ক্রাইস্টচার্চে হোপ–গ্রিভসের অবিশ্বাস্য প্রতিরোধ
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে গতকাল তৃতীয় দিন শেষেই জয় দেখতে শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। আজ চতুর্থ দিনে শুরুর দিকেও সবকিছু ছিল তাদের পক্ষে। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা বোধহয় খুব দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে। কারণ, নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৫৩১ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়ায় নেমে এক পর্যায়ে ৭২ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারায় ৪ উইকেট।
দিনের খেলাও তখনো প্রায় দেড় সেশন বাকি। কিন্তু এখান থেকে অবিশ্বাস্য প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভস। পঞ্চম উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১৪০ রানের জুটিতে চতুর্থ দিন পার করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২১২ রান তোলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হোপ ১১৬ ও গ্রিভস ৫৫ রানে অপরাজিত।
৪ উইকেটে ৪১৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। আজ সকালের সেশনে ৪৯ রানে আরও ৪ উইকেট হারানোর পর দলীয় ৪৬৬ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। এতে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে লক্ষ্য পেয়েছে, টেস্ট ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কেউ এত রান তাড়া করে জিততে পারেনি। টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে জয় তুলে নেওয়ার নজির আছে।
অসম্ভব এ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩তম ওভারে দলীয় ২৪ রানে ওপেনার জন ক্যাম্পবেলকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাঝখানে এক ওভার পর তেজনারায়ণ চন্দরপলকেও ফেরান কিউই পেসার জ্যাকব ডাফি।
আলিক অ্যাথানাজ ও রোস্টন চেজকেও বেশিক্ষণ দাঁড়াতে দেননি দুই কিউই পেসার ম্যাট হেনরি ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। ৪ রান করা ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক চেজকে ফেরান হেনরি। ২৮.৩ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর তখন ৪ উইকেটে ৭২।
এরপরই শুরু হয় হোপ ও গ্রিভসের অবিশ্বাস্য প্রতিরোধ। অবিচ্ছিন্ন ১৪০ রানের জুটি গড়তে তাঁরা খেলেন ২৭৫ বল। যেখানে গ্রিভস একাই খেলেছেন ১৪৩ বল, হোপ ১৩২ বল। অনেক চেষ্টা করেও তাঁদের জুটি ভাঙতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।
আগামীকাল পঞ্চম ও শেষ দিনে হোপ–গ্রিভসের জুটি কতক্ষণ টিকবে—এর ওপর নির্ভর করছে এ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগ্য। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার আরও ৩১৯ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ২৩১ ও ৪৬৬/৮ ডিক্লেয়ার (ল্যাথাম ১৪৫, রবীন্দ্র ১৭৬, ব্রেসওয়েল ২৪, ইয়াং ২৩; রোচ ৫/৭৮, শিল্ডস ২/৭৪, সিলস ১/৭২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬৭ ও ২১২/৪ (হোপ ১১৬*, গ্রিভস ৫৫*, ক্যাম্পবেল ১৫; ডাফি ২/৬৫, হেনরি ১/২৯, ব্রেসওয়েল ১/৫৪)।
—চতুর্থ দিন শেষে