কীভাবে রেকর্ড ইনিংস খেললেন, জানালেন ম্যাক্সওয়েল

রেকর্ড সেঞ্চুরির পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলএএফপি

ইনিংসের ৪০তম ওভারে নেমেছিলেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল সেখান থেকেই করলেন সেঞ্চুরি! দিল্লিতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আজ ঝড় তুলেছিলেন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন তিনি ৪০ বলে মাইলফলকে পৌঁছে। ম্যাক্সওয়েল বলছেন, নামার সময় এমন কিছু ভাবেননি। পরিস্থিতির দাবি মেটানো ব্যাটিং করেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। এমন ব্যাটিংয়ের রহস্য কী, সেটিও জানিয়েছেন তিনি।

৪০তম ওভারে নামলেও ৪১তম ওভারের আগপর্যন্ত কোনো বলই খেলেননি ম্যাক্সওয়েল। বেশ শক্ত একটা ভিত পেলেও ওই সময়ে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মুখোমুখি প্রথম বলটা ডট দিয়েছিলেন, এরপর বাস ডি লিডিকে টানা দুই চার। এরপর কী ঘটতে চলেছে, ডাচরাও হয়তো সেটি আঁচ করতে পারেনি।

আরও পড়ুন

ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে ম্যাক্সওয়েল বলেছেন, ‘(দ্রুততম সেঞ্চুরি) এমন কিছু করতে তো নামিনি। শুধু পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছি। শেষের দিকে ভালো ভিত পেয়ে সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। বল খুব দ্রুত এগোয় (এখানে)। ছন্দে থাকতে পেরে ভালো লাগছে।’

৪৪ বলে ১০৬ রানের ইনিংসের পথে ম্যাক্সওয়েল
এএফপি

কীভাবে এমন ইনিংস খেললেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্রেফ। নিজেকে সময় দিয়েছি, আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছি। এটি আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দেবে, বিশেষ করে যখন জানি আমার কাছে আরও কী আছে। ধারাবাহিকভাবে রান করতে না পারলে সংশয় ঘিরে ধরতেই পারে, তবে এই ইনিংস খেলতে পেরে ভালো লাগছে।’

ম্যাক্সওয়েল আরও বলেছেন, ‘আমার মাথা পরিষ্কার ছিল, নেমে শুধু খেলতে চেয়েছি। ডেভি (ওয়ার্নার) ও গ্রিনি (ক্যামেরন গ্রিন) আউট যখন হলো, আমাকে ম্যাচটি টানতে হতো। প্যাটিও (কামিন্স) দারুণ ছিল। তারা শর্ট লেংথে করলেও আমার মনে হয়েছে চড়াও হওয়ার মতো সময় আছে আমার। আর জোরের ওপর করলে আমার হাত জোরে ঘোরাতে হয়েছে। সামনে থাকা ফিল্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছি। অবশ্য তারা দারুণ ফিল্ডিং করেছে, প্রথম ২৫ ওভারে কয়েকটি বাউন্ডারি বাঁচিয়েছে।’

সপ্তম উইকেটে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সঙ্গে ম্যাক্সওয়েলের জুটিতে ওঠে ৪৪ বলে ১০৩ রান। তাতে কামিন্সের অবদান ৮ রান। কামিন্সের কাছে ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসকে মনে হচ্ছে ‘খ্যাপাটে’। অবশ্য এরপর মজা করে বলেছেন, ‘আমার তো মনে হয় ১০০ রানের জুটিতে আমাদের দুজনের অবদানই সমান।’

অবশ্য এমন জয়ের পর কামিন্স অমন মজা করতেই পারেন। ৩০৯ রানের রেকর্ড জয়ে অস্ট্রেলিয়া যেন একটা ঘোষণাও দিল—বিশ্বকাপটা শুরু হচ্ছে তাদের। প্রথম দুটি ম্যাচে হারের পর টানা তিনটি ম্যাচ জিতল তারা।

আরও পড়ুন