‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছি, এক ম্যাচ হেরেই আশা বাদ দেওয়া যাবে না’
এশিয়া কাপ শুরুর আগে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা বারবারই বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়াই তাঁদের লক্ষ্য। তাঁদের সেই আত্মবিশ্বাস এখন অনেকটা মিইয়েই যাওয়ার কথা। বাংলাদেশের সুপার ফোরে যাওয়ার সম্ভাবনাই যে এখন অনেক যদি–কিন্তুর সামনে পড়ে গেছে।
শনিবার আবুধাবিতে এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটের হারের পর বাংলাদেশের সামনে এখন দুটি অঙ্ক—পরের ম্যাচ আফগানিস্তানকে হারাও; এরপর শ্রীলঙ্কার কাছে আফগানিস্তানের হারের প্রার্থনায় বসে যাও। প্রথমটি নিজেদের হাতে থাকলেও পরেরটি নেই।
আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য এসেছি। এক ম্যাচ হেরে আশা বাদ দেওয়া যাবে না।
লঙ্কানদের কাছে হারের যে ধরন, তা–ও ধাক্কাটা দিয়েছে বেশ। ম্যাচে প্রথম রান পেতে বাংলাদেশের লেগেছে ১৪ বল। পরেও যে ১৪০ রানের লক্ষ্য তারা দিয়েছিল, সেটি প্রতিপক্ষ তাড়া করে ফেলেছে ১৪.৪ ওভারে। এমন হারের নেট রান রেটকে যাচ্ছেতাই বানিয়ে পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোও কঠিনই হওয়ার কথা বাংলাদেশের।
তবে আশায় বসতি শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পর দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকের আলীর কণ্ঠে, ‘আশা ছাড়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা ম্যাচ জেতার জন্য খেলব। এই ম্যাচেও আমরা জেতার মানসিকতা নিয়ে এসেছিলাম, হয়নি। পরের ম্যাচেও জেতার মানসিকতা নিয়েই যাব। এ ছাড়া তো আর উপায় নেই।’
এরপর তিনি টুর্নামেন্টে নিজেদের সম্ভাবনা নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা তো টুর্নামেন্টে শুধু ম্যাচ খেলতে আসিনি, আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য এসেছি। এক ম্যাচ হেরে আশা বাদ দেওয়া যাবে না।’
১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে মোটামুটি একটা জুটি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে আসলে শামীমের সঙ্গে জাকেরের ৬১ বলে ৮৬ রানের জুটি। ষষ্ঠ বা এর নিচের কোনো উইকেটে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি।
ইনিংসের শুরুতে পিছিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন জাকের। একই কথা এর আগে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে লিটন বলেছেন, ‘আমার মনে হয় পাওয়ারপ্লেতেই ম্যাচটা হেরে গেছি। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো ছিল। ভালো উইকেটে ১৪০ রান করলে আপনাকে ভালো বোলিং আর ফিল্ডিং করতে হবে। আমরা সেটিও করতে পারিনি। আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচটা এখন বাঁচা-মরার লড়াই।’