হেরে যাওয়া ম্যাচে অধিনায়ক বাবরের আরেকটি রেকর্ড

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচে আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমএএফপি

অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। এক সিরিজ পরই নাটকীয়ভাবে ফিরে পান সেটি। নেতৃত্ব ফিরে পেয়ে অধিনায়ক হিসেবে এবার নতুন রেকর্ডও গড়ে ফেললেন বাবর আজম।

অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ছাড়িয়ে গেছেন বাবর। গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারা ম্যাচে ২৯ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলার পথে ফিঞ্চকে ছাড়িয়ে যান পাকিস্তান অধিনায়ক। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় বাবরের রান এখন ২২৪৬, ফিঞ্চের ছিল ২২৩৬।

আরও পড়ুন

এ তালিকায় শীর্ষ পাঁচজনের তিনজনই এখনো দলের অধিনায়কত্ব করছেন—বাবর ছাড়াও নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন ও ভারতের রোহিত শর্মা। একমাত্র ফিঞ্চই অবসরে গেছেন। বিরাট কোহলি খেললেও অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন আগেই।

বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রান সাকিব আল হাসানের—৩৯ ম্যাচে ৮২৬। এ তালিকায় তিনি অবশ্য বেশ পিছিয়ে। কমপক্ষে ১ হাজার রানই আছে ১৭ জনের।

প্রথম আলো গ্রাফিকস

অধিনায়ক হিসেবে বাবরের ব্যাটিং গড় ৩৭.৪৩, স্ট্রাইক রেট ১২৯.৩০। শীর্ষ পাঁচে থাকা অধিনায়কদের মধ্যে একমাত্র উইলিয়ামসনের স্ট্রাইক রেটই (১২৩.৬১) বাবরের চেয়ে কম।

২০১৯ সালে প্রথমবার পাকিস্তানকে এ সংস্করণে নেতৃত্ব দেওয়া বাবরের একটা রেকর্ড অবশ্য আগে থেকেই আছে—অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাবরের তিনটি শতকই এসেছে অধিনায়ক থাকা অবস্থায়। অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় বাবর যৌথভাবে শীর্ষে আছেন রোহিতের সঙ্গে। আরেকটা জায়গায় অবশ্য বাবরই এগিয়ে। অধিনায়ক হিসেবে তাঁর ৫০ বা এর বেশি রানের ইনিংস ২৩টি। তালিকার দুইয়ে থাকা উইলিয়ামসনের ১৬টি।

আরও পড়ুন

পাকিস্তানকে এরই মধ্যে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাবর—২০২১ ও ২০২২ সালে। দুবারই শেষ চারে খেলেছে পাকিস্তান। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সেমিফাইনালে হেরেছিল পাকিস্তান। আর পরের বছর ফাইনালে বাবরের পাকিস্তান হেরেছিল ইংল্যান্ডের কাছে।

সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের অধিনায়ক থাকবেন বাবরই। সে ক্ষেত্রে আরেকটা কীর্তিও হয়ে যাবে তাঁর। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো অধিনায়কই দুটির বেশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালন করেননি। শহীদ আফ্রিদি (২০১০ ও ২০১৬) ও মোহাম্মদ হাফিজ (২০১২ ও ২০১৪) পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুটি করে বিশ্বকাপে।