সাদা বলের ক্রিকেটে আর নিউজিল্যান্ডের কোচ থাকছেন না ‘সবচেয়ে সফল’ স্টিড
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের ইতিহাসে সেরা কোচ কে? এই প্রশ্নের উত্তরে বেশির ভাগই হয়তো গ্যারি স্টিডের নামই বলবেন। সেই স্টিড নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের কোচ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। টেস্টেও কোচ থাকবেন কি না, তা নিয়েও শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানিয়েছে ৫৩ বছর বয়সী এই কোচ।
২০১৮ সালে মাইক হেসনের উত্তরসূরি হওয়ার পর সাদা বলের ক্রিকেটে তিনটি বৈশ্বিক আসরে নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে তুলেছেন স্টিড। ২০১৯ বিশ্বকাপ, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—তিনটি ফাইনাল শেষেই অবশ্য রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ড দলকে।
তবে লাল বলের ক্রিকেটে স্টিডের সময়েই নিজেদের নামের পাশে ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’ তকমাটা লাগাতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড। ২০২১ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্টিডের দল। গত বছর ভারতে গিয়ে ভারতকে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করার ‘অসম্ভব’ কীর্তিও গড়ে নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি) ছেলেদের দলের জন্য সংস্করণভেদে ভিন্ন ভিন্ন কোচ নিয়োগের পরিকল্পনা করার পরই স্টিড সাদা বলের ক্রিকেটের কোচের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিলেন। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার সাদা বলের কোচের পদ ছাড়া রব ওয়াল্টারের নাম আসছে নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী কোচ হিসেবে।
সাদা বলের কোচের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিতে গিয়ে স্টিড বলেন, ‘আমি সফরের পর সফরের যে জীবন, তা থেকে বেরোতে চাই। আমি ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবছি। আমার সব মনোযোগ এখন কম অভিজ্ঞ কোনো দলের সঙ্গে মৌসুমটা ভালোভাবে শেষ করতে চাই। শেষ ছয়টা মাস বিরামহীন ক্রিকেট নিয়ে চরম ব্যস্ত ছিলাম।’
আগামী জুনে এনজেডসির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হতো স্টিডের। চুক্তি নবায়ন করতে হলে নতুন করে আবার আবেদন করতে হবে স্টিডকে। এনজেডসি যেহেতু একাধিক কোচের পথে হাঁটছে, তাই টেস্ট দলের কোচ হিসেবে থাকতে চাইলেও নতুন করে আবেদন করতে হবে। এ নিয়ে স্টিড বলেছেন, ‘আগামী একটা মাস এ বিষয়ে আমার স্ত্রী, পরিবার ও অন্যদের সঙ্গে কথা বলব। এরপরই সিদ্ধান্ত নেব টেস্টের কোচিং পদের জন্য আবার আবেদন করব কি না।’