লামিচানে এবার ধর্ষণের মামলা থেকে খালাস পেলেন

পাটান হাইকোর্টের বাইরে সন্দীপ লামিচানেএএফপি

রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার পর ধর্ষণ মামলায় খালাস পেয়েছেন নেপালের সাবেক অধিনায়ক ও তারকা ক্রিকেটার সন্দীপ লামিচানে। আজ বুধবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।

২০২২ সালে কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে এক কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হন নেপাল ক্রিকেটের একসময়ের পোস্টারবয় লামিচানে। দেশটির ক্রিকেট উত্থানের পেছনে ২৩ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনারের অবদান আছে বলে ধরা হয়। মামলার শুনানি দীর্ঘায়িত হওয়ায় মাঝে জামিন পেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফেরেন। গত জানুয়ারিতে ধর্ষণের ওই মামলায় লামিচানেকে দোষী সাব্যস্ত করে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানোর পর কারাগার থেকে মুক্তিও পান।

আজ লামিচানের আপিলের রায়ের বিষয়ে পাটান হাইকোর্টের মুখপাত্র বিমল পারাজুলি এএফপিকে বলেন, ‘সন্দীপ লামিচানেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।’

এরই মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে নেপাল। তাতে রাখা হয়নি লামিচানেকে। যদিও আগামী ২৫ মে পর্যন্ত আইসিসির অনুমোদন ছাড়াই দলে পরিবর্তন আনা যাবে।

রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার পর ধর্ষণ মামলায় খালাস পেয়েছেন নেপালের সাবেক অধিনায়ক ও তারকা ক্রিকেটার সন্দীপ লামিচানে
এএফপি

আদালতের প্রাথমিক রায়ের পর নেপাল ক্রিকেট বোর্ড লামিচানেকে নিষিদ্ধ করেছিল। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন লামিচানে। এমন অভিযোগের পরও জনসমর্থনও পেয়ে এসেছেন। এ মাসে ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আমি নির্দোষ। যাঁরা আমাকে বিশ্বাস করেন এবং আমার ব্যাপারে সহমর্মী, তাঁদের প্রতি আমি ঋণী থাকব।’

আরও পড়ুন

আজ রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন লামিচানে। রায়ের পর আদালতের বাইরে তাঁর সমর্থকদের উল্লাস করতে দেখা যায়। ২১ বছর বয়সী আসমিতা ছেত্রি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি সে নির্দোষ। ফলে সবাই এখানে একত্র হয়েছে, তার ন্যায়বিচারের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।’

আরও পড়ুন

২০২২ সালে যখন প্রথম লামিচানের নামে ওয়ারেন্ট জারি হয়, তখন তিনি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে জ্যামাইকায় ছিলেন। ওই সময় নির্ধারিত সময়ে দেশে ফেরেননি। দেশে ফেরার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবেও অব্যাহতি দেওয়া হয় তখন। অবশ্য জামিন পাওয়ার পর খেলার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল।

ফলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব এবং ২০২৩ সালের এশিয়া কাপে খেলেন লামিচানে। এটি নিয়ে অবশ্য নেপালিজদের একটি অংশে ক্ষোভও তৈরি হয়। দুবাইয়ে একটি ম্যাচের পর তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানান স্কটল্যান্ডের ক্রিকেটাররা।