ভারতের কারও স্বপ্ন সত্যি হয়েছে, কারও মনে পড়ছে পুরোনো ক্ষত
৪৯তম ওভারের শেষ বলে রবীন্দ্র জাদেজা চার মারতেই নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের শিরোপা জয়। ডাগআউট থেকে ছুটে আসেন তাঁর সতীর্থরা। কেউ জড়িয়ে ধরেন, কেউ তুলে নেন স্টাম্প। এই উদ্যাপনের ভেতর মাঠে দাঁড়িয়েই নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
যাঁর চারে ভারত ম্যাচটা নিশ্চিত করেছে, সেই জাদেজার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ সব সময়ই কমন। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নামার ওই দায়িত্বের কথাই যেন ফাইনাল শেষে স্মরণ করিয়ে দিলেন, ‘আমার ক্ষেত্রে এমনই হয়—হয় হিরো হয়ে যাব, নয়তো জিরো। উইকেটটা সহজ ছিল না। হার্দিক ও লোকেশ দারুণ খেলেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতাটা বিশাল ব্যাপার। এত লম্বা সময় ধরে ক্রিকেট খেলে কিছু জিততে না পারলে খারাপ লাগে। আমি ভাগ্যবান যে পরপর দুটি আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পেরেছি।
২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—জাদেজার মতো ভারতের আরও অনেক ক্রিকেটারের জন্যই পরপর দুটি বছর নিয়ে এসেছে আনন্দের বার্তা।
টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে খেলেননি বরুণ চক্রবর্তী। এরপর দলে ঢোকার পর থেকেই দারুণ পারফরম্যান্স। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই গ্রুপ পর্বে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হওয়ার আনন্দটা তাঁর কাছে অন্য রকম, ‘হুট করেই একাদশে ঢুকে গিয়েছিলাম। এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার।’
স্পিনে বরুণের সঙ্গে ভারতের ভরসা হয়ে ছিলেন কুলদীপ যাদবও। ফাইনালে ভারত খেলেছে চার স্পিনার নিয়ে। এটা যে সহজ ছিল না, সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন কুলদীপ, ‘এই জয়টা আমাদের সমর্থকদের জন্য। চারটা স্পিনার খেলেছে, এটা শুনতে ভালো লাগে, তবে মাঠে চার স্পিনারকে ম্যানেজ করার কাজটা খুব কঠিন।’
অনুভূতির কথা জানিয়েছেন শুবমান গিলও। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপও মনে পড়েছে তাঁর, ‘অসাধারণ লাগছে। ২০২৩ সালে আমরা জিততে পারিনি, (ওই ফাইনালের পর) টানা আটটা ম্যাচ জিতে খুশি।’
২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগের আসরে পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে হেরে গিয়েছিল ভারত। ওই ম্যাচে ৪৩ বলে ৭৬ রান করেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এবারের জয়টা তাই তাঁর কাছে একটু বেশিই মধুর, ‘আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতাটা অসাধারণ ব্যাপার। মনে আছে ২০১৭ সালে (চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনালে) খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম, শেষ করতে পারিনি তখন। এখানে করতে পেরে অনেক খুশি।’