ধোনির মতো মাহমুদউল্লাহরও শেষ আছে

মাহমুদউল্লাহর টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ার কি শেষ?ছবি: শামসুল হক

গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের সময় সবার আগে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর নাম লিখতে হয়েছিল নির্বাচকদের।

এক বছর পর আরেকটি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল নির্বাচন করতে গিয়ে সেই মাহমুদউল্লাহর নামটি রাখা না-রাখা নিয়েই সবচেয়ে বেশি দ্বিধায় ভুগতে হয়েছে তাঁদের।

শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে বাদ দিয়ে ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছে নির্বাচক কমিটি। মিনহাজুল আবেদীনের নেতৃত্বাধীন কমিটির দল গঠনে বড় ভূমিকা ছিল বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামেরও।

আরও পড়ুন

মাসখানেক আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত হওয়া শ্রীরাম মাহমুদউল্লাহকে বেশ উঁচু মানের ক্রিকেটার হিসেবেই মূল্যায়ন করেছেন। গড় বা স্ট্রাইক রেট—যা-ই বলুন, শ্রীরামের মতে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহ ভালো ফিনিশার।

কতটা ভালো, সেটি বোঝাতে গিয়ে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে তুলনা টেনেছেন তিনি।

ভারতের ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া ধোনি ফিনিশার হিসেবে ছিলেন তাঁর সময়ের অন্যতম সেরা। মূলত বেশির ভাগ ম্যাচে শেষের দিকে নেমে খেলা শেষ করে আসতেন ধোনি।
শ্রীরামের মতে, বাংলাদেশ দলে মাহমুদউল্লাহর ভূমিকাও ধোনির মতো, ‘ব্যাটিংয়ে ভূমিকার দিক থেকে মাহমুদউল্লাহকে আমি সব সময় এমএস ধোনির সমতুল্য ভেবে এসেছি। ভারতের হয়ে ধোনি যেমন ৬ নম্বরে ব্যাট করে, মাহমুদও একই ক্রমে ব্যাট করে। ম্যাচটা শেষ করে আসে।’

আরও পড়ুন

ব্যাটিং পজিশন আর দলে ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে প্রশংসার পরই যেন মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে আসল কথাটি বলতে চাইলেন শ্রীরাম, ‘ধোনিও তো আজীবন খেলতে পারবে না, তাই না?’

ব্যাট হাতে খুব ভালো রেকর্ডের পরও ধোনিকে যেমন থেমে যেতে হয়েছে, মাহমুদকেও কখনো না কখনো থামতে হবে, এমনটাই বলতে চাইলেন শ্রীরাম।
তাঁর মতে, মাহমুদউল্লাহ যখন থাকবেন না, সেই শূন্য স্থানে কাউকে না কাউকে তো খেলাতে হবে। আর সেই কাজটি করার এখনই সেরা সময়, ‘আমাদের উত্তরাধিকার পরিকল্পনা থাকা দরকার, এরপর কে আসবে। আমার মতে, মাহমুদউল্লাহর জায়গায় কে খেলবে, সেটি ভাবার এখনই সঠিক সময়। এখনই কেউ একজন দরকার। এখন যদি না খেলাই, তাহলে বিকল্প তৈরি হবে কীভাবে?

তবে মাহমুদউল্লাহকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ ছিল না বলে জানালেন বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট, ‘এই (বাদ দেওয়ার) আলাপটা সহজ ছিল না। সে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। ওর জন্য আমার সর্বোচ্চ সম্মান রইল। ওর বিষয়ে আলাপের সময় আমাকে খারাপ মানুষ হতে হয়েছে। তবে সব ভালোভাবেই হয়েছে।’

আরও পড়ুন