‘আফগানিস্তানের কাছে হেরেছি বলে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা খারাপ হয়ে যায়নি’

দুই পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে ইংল্যান্ডছবি: রয়টার্স

এবারের বিশ্বকাপে ফেবারিট হিসেবে ভারতের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত নামটা ছিল ইংল্যান্ড। কারণটা তো সবারই জানা। একে তো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, সঙ্গে জস বাটলারের নেতৃত্বাধীন দলটার শক্তি-সামর্থ্যও অনেক। তবে বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের।

প্রথম তিন ম্যাচে জিতেছে মাত্র একটিতে। বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতা ইংল্যান্ড হেরেছে নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। বিশেষ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারার পর ইংল্যান্ডের বেশ সমালোচনা হচ্ছে। তবে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টো স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে হার ইংল্যান্ডকে খারাপ দল বানিয়ে দেয়নি।

আরও পড়ুন

দুই পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের সামনে এখন চ্যালেঞ্জটা কঠিন। সেমিফাইনালে যেতে হলে জিততে হতে পারে বাকি ৬ ম্যাচের ৫টিতেই। খেলতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও ভারতের মতো দলের বিপক্ষে।

আফগান স্পিনারদের প্রশংসা করেছেন বেয়ারস্টো
ছবি: রয়টার্স

তবে বেয়ারস্টোর কথায় বোঝা যায়, ইংল্যান্ড এখনো বেশ আত্মবিশ্বাসী। ক্রিকইনফো এ নিয়ে তাঁর মন্তব্য প্রকাশ করেছে, ‘এই দলটা গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে, এর একটা কারণ আছে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপও জিতেছে, তাই আমরা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। এরও একটা কারণ আছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুধু একটা ম্যাচ হেরেছি বলে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা খারাপ হয়ে যায়নি। ফজল হক ফারুকির দিকে তাকান, আইপিএল রেকর্ড দেখুন, তাদের তিনজন স্পিনার দেখুন এবং তাদের রেকর্ড দেখুন। শুধু আফগানিস্তানের হয়ে খেলে বলেই তারা খারাপ হয়ে যায়নি।’

আরও পড়ুন

আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইংল্যান্ড দলের বেশ সমালোচনা করেছে, যার বেশির ভাগই খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না ক্রিকেটাররা। তবে একটি প্রতিবেদনে আপত্তি আছে তাঁদের। যেখানে বলা হয়েছে, বাজে সময়ে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের গলফ কোর্সে কম সময় কাটিয়ে নেটে বেশি সময় কাটানো উচিত।

৬৯ রানে জিতেছিল আফগানিস্তান
ছবি: রয়টার্স

সাংবাদিকদের খোঁচা দিয়ে বেয়ারস্টো বলেছেন, ‘দল শান্ত ও স্থির আছে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। ২০১৯ সালে আমরা শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছি, পাকিস্তানের কাছে হেরেছি। এরপরও ফাইনাল খেলেছি। আমি নিশ্চিত ২০১৯ সালেও হারের পর একই ধরনের প্রতিবেদনই আপনারা লিখেছেন। সেটা ঠিক আছে। এটাই তো আপনাদের কাজ। দলের কিছু সদস্যকে নিয়ে আপনাদের লিখতে হবে, বাজে সময়ে তারা কী করবে, কী করবে না—সেটা লিখতে হবে। এভাবেই আপনারা কলাম ভর্তি করেন এবং করছেনও। এটা ভুল নাকি ঠিক, নাকি অন্য কিছু—সেটার দায়িত্বও আপনাদের, তা–ই তো?’

আরও পড়ুন