টেস্টে কোন দেশের কারা সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান
গ্রায়েম পোলকের ৬১ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান এখন লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস। টেস্ট খেলুড়ে অন্য ১১ দেশের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান কারা?
বুলাওয়েতে কাল টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়েছেন লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস। ১৯ বছর ৯৩ দিন বয়সে টেস্ট অভিষিক্ত মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানই এখন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান। ৬১ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছেন প্রিটোরিয়াস, পেছনে ফেলেছেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান গ্রায়েম পোলককে। ১৯৬৪ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯ বছর ৩১৭ দিন বয়সে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পোলক।
টেস্ট ইতিহাসে প্রিটোরিয়াসের চেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করেছেন ৯ জন ব্যাটসম্যান। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ডটা বাংলাদেশের মোহাম্মদ আশরাফুলের। ২০০১ সালে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন আশরাফুল। অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি পাওয়া আশরাফুলের সেদিন বয়স ছিল ১৭ বছর ৬৩ দিন।
আশরাফুলের আগে টেস্টে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন মুশতাক মোহাম্মদ। ১৯৬১ সালে ভারতের বিপক্ষে ১৭ বছর ৮২ দিন বয়সে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। মুশতাকের অবশ্য সেটি অভিষেক ছিল না।
প্রিটোরিয়াসের চেয়ে কম বয়সে যাঁরা সেঞ্চুরি করেছেন তাঁদের মধ্যে শচীন টেন্ডুলকারকে আলাদা জায়গা দিতেই হবে। বয়স ১৯ হওয়ার আগেই টেস্টে তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের সর্বকনিষ্ঠ ও ইতিহাসের তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান।
প্রিটোরিয়াসের চেয়ে কম বয়সে টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা। টেস্ট খেলুড়ে অন্য সাতটি দেশের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানরা বয়সে প্রিটোরিয়াসের বড়ই ছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগের নামই পরিচিত। তবে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বকনিষ্ঠ দুই সেঞ্চুরিয়ানের ক্যারিয়ার তেমন ডালাপালা মেলতে পারেনি।
নিউজিল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান গিফ ভিভিয়ান ১৯৩১ থেকে ১৯৩৭ সালের মধ্যে সাতটি টেস্ট খেলে ওই একটি সেঞ্চুরিই করতে পেরেছেন। ২০০৯ সালে টেস্ট অভিষেকেই সেঞ্চুরি পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান আড্রিয়ান বারাথ এরপর ১৪টি টেস্ট খেললেও আর সেঞ্চুরি পাননি।