আইপিএলের নিলামে কাড়াকাড়ি হতে পারে যে ৫ ক্রিকেটারকে নিয়ে
আইপিএলের নিলাম মানেই ক্রিকেটারদের ভাগ্যবদলের মঞ্চ। ২০২৬ আইপিএল নিলামও হয়তো সেই একই গল্পই বলবে। এবারের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে ১৬ ডিসেম্বর। ভারতের ঘরোয়া টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে দারুণ পারফর্ম করা পাঁচ ক্রিকেটারকে নিয়ে এদিন হতে পারে তুমুল লড়াই। ক্রিকেটবিষয়ক পোর্টাল উইজডেনের বরাতে দেখে নেওয়া যাক কারা আছেন সেই পাঁচজনের তালিকায়।
যশ ধুল
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যশের নেতৃত্বে ভারত জেতে অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টে ফাইনালের পরপরই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকে তিনি করেন জোড়া শতক। তখনই দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে আইপিএল চুক্তিও করে ফেলেছিলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
তবে ২০২৪ সালে হৃদ্যন্ত্রে ছিদ্র ধরা পড়ায় অস্ত্রোপচার করাতে হয় তাঁকে। এরপর এ বছর মাঠে ফিরে দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে ৮৭ গড়ে ও ১৬৭ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ইয়াশ। মুশতাক আলী ট্রফিতেও আছেন ছন্দে। ওপেনার হিসেবে ৭টি লিগ ম্যাচে করেছেন ২৬১ রান, স্ট্রাইক রেট ১৪৫। তাঁর পুরোনো দল দিল্লি, সঙ্গে কলকাতা—দুটো দলই ওপেনার, ব্যাকআপ কিংবা সম্ভাব্য প্রথম একাদশের সদস্য খুঁজছে। সেই তালিকায় থাকতে পারেন ২৩ বছর বয়সী যশ।
মনীশঙ্কর মুরাসিংহ
প্রথম নিলাম তালিকায় নাম ছিল না মনীশঙ্করের। তবে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাঁকে নিলামের তালিকায় যোগ করা হয়। বয়স ৩২ বছর—তরুণ বলা যাবে না, কিন্তু তাঁর নাম শেষ মুহূর্তে যোগ হওয়া মানেই অন্তত একটি দল যে আগ্রহ দেখিয়েছে, তা স্পষ্ট।
এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার খেলেন ত্রিপুরার মতো তুলনামূলক দুর্বল দলে। এ বছরের সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে তাঁর ইনিংসগুলো—৫৬, ৪০, ৪২, ২৫*, ৩৩, ১২ ও ৬৯। স্ট্রাইক রেট ১৭২। সঙ্গে নিয়েছেন ছয় উইকেটও।
শুধু এই মৌসুম নয়, মনীশঙ্করের ৮০ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আছে ৬৫ উইকেট ও ১,৩০০ এর কাছাকাছি রান। তাঁর বোলিং ইকোনমি ৭.৪, ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট ১৪৩।
আকিব নবী
জম্মু–কাশ্মীরের এই পেসার গত মৌসুম থেকে ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ আলো ছড়াচ্ছেন। বিশেষ করে লাল বলের ক্রিকেটে, রঞ্জিতে ১৩ ম্যাচে তাঁর উইকেট ৭৩। তবে এ বছর সংক্ষিপ্ত সংস্করণেও ভালো করেছেন তিনি।
সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে ৭ ম্যাচে তাঁর উইকেট ১৫টি। পাওয়ারপ্লে আর ডেথ—দুই সময়ই বল করে ৭.৪ ইকোনমি রেখেছেন তিনি। তাঁর ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট ১০৭ দেখে বোঝা যাবে না, কিন্তু প্রয়োজনে ছক্কাও হাঁকাতে পারেন। সর্বশেষ ম্যাচে মধ্যপ্রদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৮৪ রান, এমন অবস্থায় নেমে করেন ২১ বলে দলের সর্বোচ্চ ৩২ রান। এরপর বল হাতে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা বোলিং করে দলকে জেতান।
রাজ লিম্বানি
২০ বছর বয়সী লিম্বানি সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে নিয়েছেন ৭ ম্যাচে ১৫ উইকেট। এ বছরের বারোদা প্রিমিয়ার লিগেও তিনি যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন। গত মৌসুমের নিলামে তাঁকে কেউ নেয়নি, কিন্তু এবার হয়তো তিনি দলে জায়গা পেতে পারেন। দিল্লি ক্যাপিটালস ও রাজস্থান রয়্যালস ব্যাকআপ দেশি পেসার খুঁজছে।
অশোক শর্মা
রাজস্থানের হয়ে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে ৭ ম্যাচে ১৯ উইকেট। এ মৌসুমের শুরুতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও অভিষেক হয়েছে তাঁর, সেখানে চার ম্যাচে তাঁর উইকেট ১৪।
কলকাতা ২০২২ সালে তাঁকে দলে নিয়েছিল। গত বছরের মেগা নিলামে বেস প্রাইসে তাঁকে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। তবে খেলার সুযোগ পাননি। এই মৌসুমে মুশতাক আলী ট্রফির পারফরম্যান্স আবার তাঁকে দলে নেবে কি না, দেখা যাক।