পিসিবির নির্বাচক ও যুব উন্নয়নপ্রধানের পদ ছাড়লেন আজহার আলী
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নির্বাচক ও যুব উন্নয়ন বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আজহার আলী। পিসিবি কিংবা আজহার নিজে ব্যাপারটি প্রকাশ না করলেও এ খবর নিশ্চিত করেছে ইএসপিএনক্রিকইনফো। ১২ মাস এই পদে দায়িত্ব পালনের পর সরে দাঁড়ালেন আজহার।
ইএসপিএনক্রিকইনফো জানতে পেরেছে, পিসিবির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মতপার্থক্যের জেরে পদত্যাগ করেছেন আজহার। বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ নেয় সরফরাজ আহমেদকে পিসিবি পাকিস্তান শাহিনস (এ দল) ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর। যদিও সরফরাজের এ নিয়োগ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি পিসিবি। সফর আয়োজন, পরিচালনা, প্রশিক্ষণ ক্যাম্প—এসব সরফরাজের দায়িত্বের আওতাভুক্ত।
ক্রিকেটবিষয়ক খবরের এই পোর্টাল তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, আজহারের সম্ভবত মনে হয়েছে, সরফরাজের নিয়োগটি তাঁর দায়িত্বের সঙ্গে মিলে যায় এবং এ কারণে নিজের অবস্থান টিকিয়ে রাখা তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
টেস্ট ও ওয়ানডেতে আজহার পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। ২০২৪ সালের অক্টোবরে প্রথমবার আজহারকে পিসিবিতে নিয়ে আসা হয় ছেলেদের জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হিসেবে। এক মাস পর তাঁকে যুব উন্নয়নপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা পিসিবি তখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিল।
পিসিবির ওয়েবসাইটে আজহারের নিয়োগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘তাঁকে ‘পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে—যুব ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে বিস্তৃত কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, শক্তিশালী তৃণমূল কাঠামো এবং প্রতিভা বিকাশের পথ তৈরি, বয়সভিত্তিক কর্মসূচি শক্তিশালী করতে আঞ্চলিক ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সঙ্গে সমন্বয়, পিসিবির অধীন উদীয়মান ক্রিকেটারদের শিক্ষাদান এবং তরুণ খেলোয়াড়দের মাঠের বাইরের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সেমিনার ও ক্লিনিকের আয়োজন করা।’
পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে এখন বড় আসর বলতে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে। স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের সঙ্গে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ড রয়েছে পাকিস্তানের গ্রুপে। ২০০৪ ও ২০০৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে পাকিস্তান।