বিসিবির হাতে বিপিএল ফিক্সিং তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন
বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্বাধীন তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রায় ৯০০ পাতার প্রতিবেদনে বিপিএলের দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যপ্রণালি ও পরিচালনাগত ত্রুটি তুলে ধরা হয়েছে।
গত আগস্টে বিসিবির কাছে বিপিএলের ফিক্সিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তিন সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিটি। সেই কমিটি আজ বিসিবিকে দিয়েছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনও।
বিপিএলের সর্বশেষ আসরের পর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অপর দুই সদস্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. খালেদ এইচ চৌধুরী ও সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম।
বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্বাধীন তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রায় ৯০০ পাতার প্রতিবেদনে বিপিএলের দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যপ্রণালি ও পরিচালনাগত ত্রুটি তুলে ধরা হয়েছে।
আইনগত প্রস্তাব, প্রাতিষ্ঠানিক পুনর্গঠন, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর নিয়ম মেনে চলার ব্যবস্থা, খেলোয়াড়দের সুরক্ষা জোরদার, ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা ও জনসংযোগ কাঠামো আরও শক্তিশালী করতে একটি বিস্তৃত পথরেখাও রয়েছে তিন সদস্যের কমিটির প্রতিবেদনে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করবে না বিসিবি। তবে তাদের দেওয়া সুপারিশগুলো মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আরও তদন্ত করার কথা জানিয়েছে তারা। এ ক্ষেত্রে আইসিসি দুর্নীতিবিরোধী আইনের ধারা মেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাহায্যও নেওয়া হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত আগস্টেই বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী বিভাগে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা অ্যালেক্স মার্শালকে। তিনিই বিপিএলের স্বাধীন তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনটি নিয়ে পরবর্তী কাজ করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে আজ ছিল দ্বাদশ বিপিএলের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি পেতে আগ্রহ প্রকাশের শেষ দিন। সন্ধ্যায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিরপুরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দল পেতে ১০টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামী ডিসেম্বর–জানুয়ারিতে বিপিএল হতে পারে ৫–৬টি দল নিয়ে।