প্রথম চার ম্যাচ ৮ উইকেট নিয়েও লাহোর কালান্দার্সের একাদশ থেকে ছিটকে পড়েছিলেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের লেগ স্পিনার এরপর টানা তিনটি ম্যাচ দেখেছেন বেঞ্চে বসে। সেই রিশাদ অবশেষে রোববার আবার একাদশে সুযোগ পেলেন। তবে সুযোগ পেয়ে দারুণ বোলিং করেও অবশ্য দলকে জেতাতে পারেননি।
লাহোরে করাচি কিংসের বিপক্ষে ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। যারা খেলা দেখেননি এই বোলিং বিশ্লেষণ দেখে ভুল বুঝতে পারেন। বৃষ্টিতে ১৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে লাহোরের বেশির ভাগ বোলার মার খেয়েছেন আরও বেশি। ১৬৮ রানের লক্ষ্য করাচি ছুঁয়ে ফেলে ৩ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে।
রিশাদের দল ১৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬০ রান তোলার পর নামে বৃষ্টি। রিশাদ তখন ১ বলে শূন্য রানে অপরাজিত। লাহোরের ইনিংস শেষ সেখানেই। বৃষ্টি থামার পর আবার যখন খেলা শুরু হলো করাচির লক্ষ্য ১৬৮ রান।
এমন ম্যাচে যেভাবে শুরু করা দরকার ডেভিড ওয়ার্নার ও টিম সাইফার্ট তেমন শুরুই এনে দেন করাচিকে। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ওয়ার্নার (১৩ বলে ২৪) যখন ফেরেন করাচির রান ৪০। ১০ বলে ২৪ করা সাইফার্ট ফেরেন ৪.৪ ওভারে দলকে ৫৭ রানে রেখে।
রিশাদ বোলিংয়ে আসেন করাচি ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৬৮ রান করে ফেলার পর। সেই ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে জেমস ভিন্সকে সিকান্দার রাজার ক্যাচ বানান রিশাদ। পিএসএল ক্যারিয়ারে যেটা রিশাদের নবম উইকেট। আর তাতেই সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহকে ছাড়িয়ে পিএসএলে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়ে যান রিশাদ।
নিজের পরের ওভারের প্রথম দুই চার-ছক্কা খেলেও পরের চার বলে ৩ রান দিয়ে দারুণভাবে ফিরে আসেন এই লেগ স্পিনার। এর পরের ওভারে ড্যারিল মিচেল মাত্র ২ রান দেন, এরপর আবার রিশাদ এসে দেন ৮ রান।
রিশাদের বোলিং কোটা শেষ হওয়ার পর শেষ ৪ ওভারে ৫৮ রান দরকার ছিল করাচির। ইরফান খান ও মোহাম্মদ নবীর তাণ্ডবে ৩ বল হাতে রেখেই রানটা পেয়ে যায় করাচি। ইরফান ৫ ছক্কায় ২১ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। তবে নবী ৮ বলে ১৫ রান করে আউট হয়ে যান।