বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বয়কট-হুমকি

অনুশীলনে পাকিস্তান ক্রিকেট দল।ছবি: এএফপি

দুই দিন পরই বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা পাকিস্তান দলের। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সই করেননি বাবর আজম-শাহিন আফ্রিদিরা। এ কারণে কেন্দ্রীয় চুক্তি করা ছাড়াই পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়েছে।

ক্রিকেট বিষয়ক খবরের ওয়েবসাইট পাকিস্তান ক্রিকেটের খবর অনুযায়ী চার মাস ধরে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা পিসিবি থেকে প্রতিশ্রুত অর্থ বা ম্যাচ ফি বাবদ কিছু পাচ্ছেন না। এ পরিস্থিতি তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। তাঁদের আর্থিক সংকটে পড়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা নীরবেই প্রতিবাদ করে এসেছেন।

আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান দলে ঝামেলার শঙ্কা
ছবি: এএফপি

এবার হয়তো তাঁরা আর চুপ থাকবেন না। বিশ্বকাপের আগে কোনো একটা পদক্ষেপ নিতে পারেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। আপাতত তাঁরা বিশ্বকাপের সময় জার্সিতে স্পনসরের লোগো না পরার কথা ভাবছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাকিস্তানের এক ক্রিকেটার দেশটির সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তানকে বলেছেন, ‘আমরা কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্পনসরদের লোগোর প্রচার আমরা কেন করব?’

ওই ক্রিকেটার এরপর যোগ করেন, ‘আমরা প্রচারণামূলক কার্যক্রমের মতো বিষয়গুলোয় অংশ না নেওয়ার কথা ভাবছি। এমনকি বিশ্বকাপের সময় আমরা আইসিসির প্রচারণামূলক বা অন্যান্য কার্যক্রমে অংশ নেব না।’

আরও পড়ুন
পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি
ছবি : পিসিবি

পিসিবির এক সূত্রের তথ্য, তিন সংস্করণেই শীর্ষ ক্রিকেটারদের নতুন যে কেন্দ্রীয় চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেটা বেশ আকর্ষণীয়। অর্থের অঙ্কটা মাসে প্রায় ৪৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি। কিন্তু খেলোয়াড়েরা মনে করছেন, করটর বাদ দিয়ে তাঁরা যে অর্থ হাতে পাবেন, সেটা ২২ থেকে ২৩ লাখ রুপি হতে পারে। এ কারণে অঙ্কটা বাড়ানোর চাপ দিচ্ছেন ক্রিকেটাররা।

খেলোয়াড়েরা এখন পিসিবির কাছে আইসিসি ও স্পনসর থেকে বোর্ডের পাওয়া লভ্যাংশের ভাগ চাইছেন। তাঁদের দাবি, আইসিসির লভ্যাংশ, পাকিস্তান সুপার লিগ, স্পনসর ও দ্বিপক্ষীয় সিরিজ মিলিয়ে পিসিবির আয় প্রায় ৯৮০ কোটি রুপি। আর পুরো কেন্দ্রীয় চুক্তি মিলিয়েও পিসিবির খরচ ১০০ কোটিও হবে না।

আরও পড়ুন