‘এভারেস্টে ওঠা’র প্রশ্নে উইলিয়ামসনের রসিকতা

নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনছবি: এএফপি

ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলাটা তাদের জন্য ছিল ডালভাত। এরপর গত দুই আসরে নিউজিল্যান্ড খেলেছে ফাইনালও। কিন্তু কোনোবারই শেষ বাধাটা টপকাতে পারেনি। এবার টানা তৃতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার অপেক্ষায় কিউইরা। তবে এবার ফাইনালে যাওয়ার আগেই কেইন উইলিয়ামসনের দলকে পেরোতে হবে স্বাগতিক ভারতের শক্ত বাধা। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অজেয় রোহিত শর্মার ভারত।

আরও পড়ুন

দলটিকে হারানো যেন এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার মতোই কঠিন। গতকাল ম্যাচ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও এসেছে এভারেস্ট-প্রসঙ্গ। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বেশ হাস্যরসের জন্ম দিয়েছেন কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন।

আজ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হবে ভারতের। সেই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক উইলিয়ামসনকে মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, নেপালে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ করা প্রথম দুই মানবের একজন নিউজিল্যান্ডেরই—এডমুন্ড হিলারি। সেই সাংবাদিক প্রশ্ন শুরু করেন এভাবে, ‘১৯৫৩ সালের ২৯ মে প্রায় ৭০ বছর আগে...।’ সাংবাদিকের প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই ৩৫ বছর বয়সী উইলিয়ামসন—যাঁর জন্ম এভারেস্ট জয়ের ৩৭ বছর পরে—বাধা দিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘আমার খুব মনে আছে।’

অনুশীলনে উইলিয়ামসনের এমন ফুরফুরে মেজাজ সংবাদ সম্মেলনেও দেখা গেল
ছবি: এএফপি

উইলিয়ামসনের এ উত্তর শুনে হাসির রোল ওঠে সংবাদ সম্মেলনে। কিন্তু তখন মাইক্রোফোনের সমস্যার কারণে বাধাগ্রস্ত হয় সংবাদ সম্মেলন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর সেই সংবাদিক তাঁর প্রশ্ন শেষ করেন। তিনি জানতে চান, টানা ৯ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা ভারতকে হারানো নিউজিল্যান্ডের জন্য হিলারি আর নোরগের এভারেস্ট জয়ের মতো কঠিন কি না?

আরও পড়ুন

উইলিয়ামসন এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে আবারও কারিগরি সমস্যা দেখা দেয়। কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানের জন্য কয়েক মিনিট সময় নেন। তখন উইলিয়ামসনকে দেখা যায় সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারের ভূমিকায়। মাইক্রোফোন সামনে নিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘হ্যালো মাইক চেক, মাইক চেক, মাইক চেক।’ উইলিয়ামসনের এই কাণ্ড দেখে আবার সংবাদ সম্মেলনে হাসির রোল ওঠে।

সংবাদ সম্মেলনে কেইন উইলিয়ামসন
ছবি: আইসিসি ওয়েবসাইট

নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক এরপর অবশ্য ঠিকঠাক প্রশ্নটির উত্তর দেন। ভারতকে হারানো কতটা কঠিন, এ প্রশ্নের উত্তরে উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘দারুণ প্রশ্ন। আমরা জানি এটা কঠিন এক চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। তারা এমন একটি দল, যারা দারুণ খেলছে। কিন্তু আমরা জানি, শেষ মুহূর্তে এসে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে এবং এটা মূলত একটা দিনের ব্যাপার। তাই দল হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নিজেদের ক্রিকেটে আবার মনোযোগ দেওয়া। আমরা এখন পর্যন্ত দারুণ কিছু ক্রিকেট খেলেছি। কয়েকটি ম্যাচ কাছাকাছি গিয়ে হেরেছি এবং একই সঙ্গে কয়েকটি জয় আমাদের এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তাই সামনে অপেক্ষমাণ চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত।’

আরও পড়ুন