ছক্কায় ছক্কায় তামিমকে ছুঁলেন পারভেজ
ছক্কা, ছক্কা আর ছক্কা—কখনো বল পার হয়ে গেল পুরো স্টেডিয়ামও। শেষে তিনি যা করলেন, তা ছক্কাগুলোর মাহাত্ম্য বাড়িয়ে দিল আরও। কতগুলো ছক্কা হাঁকালেন পারভেজ হোসেন? সংখ্যায় তা ৯। কিন্তু তাঁর ইনিংস এটুকুতে আটকে থাকলে তো!
শুধু কি আর ছক্কা, পারভেজ আজ ভেঙে ফেললেন রেকর্ড, নতুন করে গড়লেন কীর্তি। এত দিন বাংলাদেশের কোনো ওপেনার ছয়টি ছক্কাও মারতে পারেননি, ওই রেকর্ড ভেঙে দিয়েও তিনি থামেননি— এক ইনিংসে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডটিও নিজের করে নিয়েছেন।
গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রিশাদের হাঁকানো ৭টি ছক্কাই এত দিন ছিল বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের পক্ষে সর্বোচ্চ। পারভেজ তা ভেঙেছেন। এরপর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অষ্টম ম্যাচে এসেই নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটাও পেয়ে গেছেন। মতিউল্লাহ খানের বলে দৌড়ে এক রান নিয়ে তা পূর্ণ করার পর তাই লাফিয়ে উঠেন পারভেজ। সতীর্থ ও মাঠে উপস্থিত বাংলাদেশের সমর্থকেরা করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁকে।
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে পারভেজের প্রথম সেঞ্চুরিটি এই সংস্করণর বাংলাদেশের মাত্র দ্বিতীয়। তাঁর আগেরটি কার ছিল মনে করাটাও হয়তো তেমন কঠিন নয়—২০১৬ বিশ্বকাপে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরিটি এসেছিল তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। আজ আরও একজন ওপেনারই আবার ছুঁলেন তিন অঙ্কের সেই ম্যাজিক ফিগার।
একটি জায়গায় অবশ্য তামিমের চেয়ে পিছিয়েই থাকতে হচ্ছে পারভেজকে। ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি সেঞ্চুরি করেন ৫৩ বলে। তবে এর বেশি দূর আর যেতে পারেননি পারভেজ। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান জাওয়াদউল্লাহর বলে।
তাঁর ৫৪ বলে ৫ চার ও ৯ ছক্কার ইনিংসটি ১০০ রানেই থেমে যাওয়ায় এখনো টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সবচেয়ে বড় ইনিংসটি তামিম ইকবালেরই। তামিমের ওই ১০৩ রানের ইনিংসটিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য পুরো এক ওভার হাতে থাকলেও তা পারেননি পারভেজ।
তাতে কী— পাকিস্তানে যাওয়ার পথে ‘যাত্রাবিরতির’ এই সিরিজটি তো তাঁর অথবা বাংলাদেশের ক্রিকেটের পক্ষে আর কখনোই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যৌবনে পা দিয়েছে, এই ১৮ বছরে বাংলাদেশ যে কেবল দুটিই সেঞ্চুরিই পেয়েছে। তা ভুলে যাওয়ার সাধ্য কী!