বাসি খাবার দেওয়ায় না খেয়ে মাঠ ছাড়লেন কোহলিরা
মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ের পর এখন সিডনিতে অবস্থান করছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। সুপার টুয়েলভের ম্যাচে আগামীকাল ভারতের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। এই ম্যাচ সামনে রেখে এখন প্রস্তুত হচ্ছেন রোহিত-কোহলিরা।
তবে সিডনিতে অনুশীলনের পর বিরূপ এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বিপত্তিটা বেধেছে অনুশীলন শেষ করে দুপুরের খাবার খেতে গিয়ে। একে তো ঠান্ডা খাবার, তার ওপর যে খাবার দেওয়া হয়েছে, তা পছন্দও হয়নি ক্রিকেটারদের। প্রতিবাদে না খেয়েই মাঠ ছাড়েন তাঁরা।
অনুশীলনের পর ভারতীয় দলকে দেওয়া খাবারে ছিল স্যান্ডউইচ ও ফল, যা শীর্ষ খেলোয়াড়দের পছন্দ হয়নি। খাবার নিয়ে নিজেদের অসন্তোষের বিষয়টি অনানুষ্ঠানিকভাবে আইসিসিকেও জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
খাবার নিয়ে কী সমস্যা হয়েছিল, তা জানাতে গিয়ে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছে, ‘ভারতীয় দলকে যে খাবার দেওয়া হয়েছিল, তা ভালো ছিল না। এদিন খেলোয়াড়দের কেবল স্যান্ডউইচ দেওয়া হয়েছিল। আর সিডনিতে অনুশীলনের পর যে খাবার দেওয়া হয়েছে, তা ছিল ঠান্ডা এবং সেগুলো ভালোও ছিল না।’
অনুশীলনে ঘাম ঝরানোর পর স্বাভাবিকভাবেই এ খাবার পছন্দ হয়নি ভারতীয় ক্রিকেটারদের। পরে তাঁরা খাবার না খেয়েই মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে না খেয়ে চলে যাওয়াকে বয়কট বলতে চাচ্ছে না বিসিসিআই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এটা বয়কটের মতো কিছু না। কিছু খেলোয়াড় ফল ও ফ্যালাফেল (একধরনের মশলা যুক্ত খাবার) নিয়েছে। তবে সবাই দুপুরের খাবার খেতে চেয়েছিল। তাই তারা হোটেলে ফিরে খাবার খেয়েছে।’
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে সাধারণত আয়োজক দেশগুলোই খাবার সরবরাহ করে থাকে। তবে আইসিসির টুর্নামেন্টে দায়িত্ব থাকে আইসিসির কাঁধেই। বিশ্বকাপের মতো আয়োজনে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থার এমন ব্যবস্থাপনা নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
পাশাপাশি যে খাবার দেওয়া হয়েছে, তাতে পুষ্টির ঘাটতি ছিল উল্লেখ করে সেই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘দুই ঘণ্টা অনুশীলনের পর আপনি শুধু অ্যাভোকাডো, টমেটো ও শসার সঙ্গে ঠান্ডা স্যান্ডউইচ দিতে পারেন না (এমনকি গ্রিলডও ছিল না)। এটা পর্যাপ্ত পুষ্টিসম্পন্ন নয়।’
বিব্রতকর এ ঘটনার পর আইসিসি বলেছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।