আমের জামাল বলছেন, ‘পাকিস্তান এখনো ম্যাচে আছে’

অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের পেসার আমের জামালএএফপি

পার্থের পর মেলবোর্নেও হার। প্রথম দুই টেস্টে হারের পর এ সিরিজ থেকে পাকিস্তানের আর কি পাওয়ার আছে! অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জিতে দেশে ফেরার স্বপ্ন নিয়ে আসা পাকিস্তানকে চোখ রাঙাচ্ছে ধবলধোলাই। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে এখন সেই ধবলধোলাই এড়ানোটাই লক্ষ্য শান মাসুদের দলের।

উঠতি তারকা আমের জামাল সেই লক্ষ্যপূরণে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে এনে দিয়েছিলেন ১৪ রানের লিড। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ধস নামে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে। তাই তো এখন পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টানা ছয়টি টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার শঙ্কায়।

আরও পড়ুন
পাকিস্তানের পেসার আমের জামাল অভিষেক সিরিজেই দারুণ উজ্জ্বল
এএফপি

প্রথম ইনিংসে ১৪ রানে এগিয়ে থাকা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ৭ উইকেটে ৬৮ রান নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে মাত্র ৮২ রানে এগিয়ে তারা। হাতে আছে ৩ উইকেট।

এমন বাজে অবস্থায় পড়ে যাওয়া পাকিস্তান দলকে ‘সাহস জোগাচ্ছেন’ আমের জামাল। প্রথম ইনিংসে ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা জামাল তৃতীয় দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন—এখান থেকেও ঘুরে দাঁড়াতে পারে পাকিস্তান!

আরও পড়ুন
রিজওয়ানের সঙ্গে উইকেটে আছেন আমের জামাল। পাকিস্তান দলকে সিডনিতে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস জোগাচ্ছেন তিনি
এএফপি

পার্থে এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হওয়া আমের জামাল বল হাতে এখন পর্যন্ত যা করেছেন, সেটাকে দুর্দান্তই বলা চলে। এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ১৬ উইকেট। প্রথম দুই টেস্টে ব্যাট হাতে খুব একটা রান করতে না পারলেও (৪৩) সিডনিতে হয়ে উঠেছেন পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান। প্রথম ইনিংসে খেলেছেন ৯৭ বলে ৮২ রানের ইনিংস, যেটি তাঁর আত্মবিশ্বাসের পালে বাড়তি বাতাস দিচ্ছে।

এ কারণেই হয়তো দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমি এখনো খুবই আত্মবিশ্বাসী যে আমরা ম্যাচে আছি। আমি জানি এটা (ব্যাটিং ধস) ঘটেছে। কিন্তু এটা যে কারও বা যেকোনো দলের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। আমি এখনো আত্মবিশ্বাসী, যদি আমরা ১৫০ থেকে ১৭০ করতে পারি, আমার মনে হয় এটা লড়াকু স্কোর হবে।’

আরও পড়ুন

জামালের সঙ্গে উইকেটে আছেন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। প্রথম ইনিংসে তিনি খেলেছিলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস। আগা সালমানকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছিলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৯৪ রানের জুটি। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটিটিতে ছিলেন জামাল। মির হামজাকে নিয়ে গড়েছিলেন ৮৬ রানের জুটি।

ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। এখানে শেষ বলে কিছু নেই। কে জানে রিজওয়ানের সঙ্গে একটি বড় জুটি উপহার দিয়ে সত্যিই পাকিস্তান দলকে ম্যাচে রাখতে পারেন কি না জামাল!

আরও পড়ুন