নতুন ভূমিকায় দেখা যেতে পারে অ্যান্ডারসন-ব্রডকে

স্টুয়ার্ট ব্রড (বাঁয়ে) ও জেমস অ্যান্ডারসনকে দেখা যেতে পারে নতুন ভূমিকায়রয়টার্স

একজন ৪০ বছর পেরিয়েছেন, আরেকজন ৩৬। জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড অবশ্য বয়সকে বুড়ো আঙুলই দেখিয়ে চলেছেন। শেষ হয়ে যাওয়া ইংলিশ গ্রীষ্মেও টেস্টে সর্বোচ্চ এ উইকেট দুজনেরই। অধিনায়ক বেন স্টোকস আগেই বলেছেন, যেভাবে এগোচ্ছেন দুজন, নির্দিষ্ট করে তিনিও বলতে পারছেন না—অ্যান্ডারসন ও ব্রড কখন থামবেন!

সামনে অবশ্য ইতিহাসের সফলতম দুই পেসারকে ভিন্ন এক ভূমিকায় ব্যবহার করতে পারে ইংল্যান্ড। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষটা অ্যান্ডারসন-ব্রডের হতে পারে একই সঙ্গে কোচ ও খেলোয়াড়ের ভূমিকায়। টেস্ট কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামেরও নাকি পরিকল্পনা অমনই।

এমনিতে ঘরোয়া ক্রিকেটে একই সঙ্গে কোচ ও খেলোয়াড়ের ভূমিকা নতুন কিছু নয়। তবে জাতীয় দলে এই যুগে এসে সেটি ঠিক প্রচলিত নয়। তবে বয়স বাড়লেও অ্যান্ডারসন ও ব্রডের যে পারফরম্যান্স, তাতে নতুন কিছু করতেই পারেন তাঁরা।

আরও পড়ুন

গত মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাদ পড়েছিলেন দুজনই। এরপরই নতুন কোচ ও অধিনায়ক ম্যাককালাম-স্টোকস জুটির অধীনে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে ফেরেন তাঁরা। সর্বশেষ মৌসুমে ৭ টেস্টে ২৯ উইকেট নিয়েছেন ব্রড, অ্যান্ডারসন ২৭ উইকেট নিয়েছেন ৬ ম্যাচে।

এখন পর্যন্ত টেস্টে ৬৬৭ উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডারসন
রয়টার্স

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের পর আপাতত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ব্যস্ত ইংল্যান্ড দল। টেস্টে তাদের পরবর্তী সূচি আগামী ডিসেম্বরে, পাকিস্তানে তিনটি ম্যাচ খেলবে তারা। তবে কন্ডিশন বিবেচনায় অ্যান্ডারসন-ব্রডকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হতে পারে, এমনকি এ সফর থেকেই বিশ্রামে থাকতে পারেন দুজন। পরের বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্ট আছে ইংল্যান্ডের, যেগুলো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়।

সেখানেই অ্যান্ডারসন-ব্রডকে নতুন ভূমিকায় কাজে লাগানো হতে পারে। এখনকার পেস বোলিং কোচ জন লুইসকে খেলোয়াড় তৈরির কাজে ব্যবহার করতে পারে তারা। সে ক্ষেত্রে উত্তরসূরিদের পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে পারেন অ্যান্ডারসন ও ব্রড।

এরই মধ্যে ড্রেসিংরুমে দুজনের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন ম্যাককালাম ও স্টোকস। আলাদা করে তাঁদের কথা বলেছেন পেসার ওলি রবিনসনও।

আরও পড়ুন

সামনের গ্রীষ্মে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্টের পর অ্যাশেজ খেলবে ইংল্যান্ড। পরের মৌসুমে খেললে সেটি হবে টেস্টে অ্যান্ডারসনের ২০তম বছর। সে ক্ষেত্রে ৭০০ উইকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটু এগিয়ে যাবেন তিনি, এখন পর্যন্ত ১৭৫ টেস্টে ৬৬৭টি উইকেট তাঁর। অন্যদিকে ২০০৭ সালে অভিষেক করা ব্রড ১৫৮ টেস্টে নিয়েছেন ৫৫৯ উইকেট।

পরের অ্যাশেজের দিকে যে দুজনেরই চোখ আছে, আগেই জানিয়েছিলেন স্টোকস, ‘৪০ বছর বয়সে জিমি (অ্যান্ডারসন), ৩৬-এ ব্রডি (ব্রড) ড্রেসিংরুমে নতুন কিছু আনছে। আমি জানি না এর শেষ কবে। পরের গ্রীষ্মে অ্যাশেজ আছে। আমি নিশ্চিত সেটির ওপরই নজর তাদের।’