কানাডায় সারেকে জেতাল লিটনের ফিফটি

লিটন দাসছবি: টুইটার

৯, ২১, ২৫—কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে নিজের প্রথম তিন ম্যাচে এই ছিল লিটন দাসের রান। কাল রাতে  সারে জাগুয়ার্সের হয়ে চতুর্থ ম্যাচে লিটনের স্কোর দেখে মনে হতে পারে ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরছেন বাংলাদেশি ওপেনার। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে লিটনের ৪৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে ব্রাম্পটন উলভসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সারে।

আরও পড়ুন

আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১২৮ রান তুলেছিল ব্রাম্পটন উলভস। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ বলে ৩৪ রান করেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। উলভসের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে ব্রাম্পটনের সিএএ সেন্টারের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন ছিল।

রান তাড়ায় নেমে সারেও শুরুতে চাপে পড়েছিল। পাঁচ ওভারেই ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল সারে। তিনে নামা লিটন এরপর জুটি গড়েন পাকিস্তানি ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে। সারের এই অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে ৭৭ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়েন লিটন। এই জুটিতে লিটনের অবদান ৩৭ বলে ৫৩, ইফতিখারের ৪০ বলে ৩৮। বোঝাই যাচ্ছে, দাপট লিটনেরই বেশি ছিল।

তবে লিটনের শুরুটা ছিল সাবধানী। উলভসের পেসার টিম সাউদির বলে যতীন্দর সিং আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন লিটন। নিজের খেলা প্রথম ৫ বলে রান নিতে পারেননি। ষষ্ঠ বলে ১ রান নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। পরের ওভারেই (পঞ্চম) লোগান ফন বিককে চার মেরে ছন্দময় ব্যাটিংয়ের আভাস দেন বাংলাদেশের এই স্টাইলিশ ওপেনার। ষষ্ঠ ওভারে ক্রিস গ্রিনকে স্লগ সুইপ করে মারা ছক্কায় বোঝা যায়,  লিটনের ব্যাট থেকে বড় রান আসতে পারে। সেই প্রত্যাশার প্রতিদান দিয়েই নবম ওভারে পাকিস্তানি পেসার হুসেইন তালাতকে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারেন।

আরও পড়ুন

লিটনের শুরুটা সাবধানী হলেও কিছুক্ষণ পরই দাপট কতটা ছিল তা বুঝিয়ে দেবে পরিসংখ্যান। ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৫০ রান তুলেছিল সারে জাগুয়ার্স। এর মধ্যে লিটনের সংগ্রহ ছিল ২৪ বলে ২৬। অন্য প্রান্তে ১৭ বল খেলে ফেলা ইফতিখার ৫ রানে অপরাজিত। জয়ের জন্য এখান থেকে ৬০ বলে ৭৯ রানের লক্ষ্যকে লিটন আরও সহজ করে ফেলেন দারুণ ব্যাটিংয়ে। টিম সাউদি, ফন বিক ও তালাতের বাজে বল ছাড়েননি। ১৩তম ওভারে ফন বিককে ছক্কা মারেন।

এরপর গ্রিন ও সাউদির ওপরও চড়াও হয়েছেন। ১৬তম ওভারে গ্রিনকে চার মেরে ৪০ বলে ফিফটি তুলে নেন লিটন।

১৮তম ওভারে শহীদ আহমদজাইকে স্কয়ার কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দেন লিটন। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে সাজানো লিটনের এই ইনিংসই সারের জয়ের রসদ। লিটন আউট হওয়ার পর ১৬ বলে ৯ রান দরকার ছিল সারের। এখান থেকে জিততে কোনো অসুবিধা হয়নি দলটির। ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠল সারে।