১ বলে ১ রান।
মাত্রই উইকেটে যাওয়া আরশাদ খান দীপক চাহারের করা বলটিকে মিড অফ ফিল্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার দিকে ঠেলেই পড়িমরি করে দৌড় লাগালেন। পান্ডিয়ার থ্রো ভাঙতে পারেনি নন স্ট্রাইকার প্রান্তের উইকেট। আর তাতে ১ রান পূর্ণ করেই মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে গুজরাট টাইটানসকে ৩ উইকেটে জয় এনে দিলেন আরশাদ।
১১তম ম্যাচে পাওয়া অষ্টম এই জয়ে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেল শুবমান গিলদের গুজরাট। অন্যদিকে টানা ছয় ম্যাচ জয়ের পর প্রথম হারের স্বাদ পেয়ে মুম্বাই নেমে গেলে চারে (১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট)।
ওয়াংখেড়ে দুবার বৃষ্টির কারণে বন্ধ হওয়া ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে স্বাগতিক মুম্বাই করেছিল ৮ উইকেটে ১৫৫ রান। রান তাড়ায় দুবার বৃষ্টির বাধায় পড়া গুজরাট যখন শেষবার আবার ব্যাটিংয়ে নামল দলটির লক্ষ্য ১৯ ওভারে ১৪৭ রানের। যার অর্থ ১ ওভারে দলটির দরকার ১৫ রান।
সেই ওভারটি করলেন দীপক চাহার। ভারতীয় পেসারের প্রথম ৩ বলে ১টি করে চার-ছক্কা মেরে রাহুল তেওয়াতিয়া ও জেরাল্ড কোয়েৎজি ৩ বলে ৪ বানিয়ে ফেলেন সমীকরণটাকে। পরের বলটা হলো নো বল, ব্যাটসম্যানরা দৌড়ে নিলেন ১ রান। তাতে ৩ বলে ২ রানের হিসাব গুজরাটের। ফ্রি হিটে তেওয়াতিয়া ১ রান নেওয়ার পর আবার নাটক। এবার বল আকাশে তুলে আউট কোয়েৎজি। আর তাতেই সমীকরণটা হয়ে যায় ১ বলে ১ রানের। এরপর পান্ডিয়ার সেই রানআউট মিস। তাতে সুপার ওভারের নাটকে গড়াতে পারল না ম্যাচটি।
এর আগে প্রথমবার বৃষ্টি এসে যখন খেলা থামিয়ে দিল রান তাড়া করা গুজরাট টাইটানসের স্কোর ১৪ ওভারে ১০৭/২। খেলা আর শুরু না করা গেলে জিতে যেত গুজরাট। ডিএলএসের হিসাবে সে সময়ে ৮ রানে এগিয়ে ছিল শুবমান গিলের দল।
তবে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় মিনিট ২৫ পরে আবার শুরু হয় খেলা। ৬ ওভারে তখন গুজরাটের দরকার ৪৯ রান।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বল তুলে দিলেন যশপ্রীত বুমরার হাতে। ওভারের দ্বিতীয় বলটায় গুজরাট অধিনায়ক গিল মেরে দিলেন চার। তিন বল পরেই প্রতিশোধ নিলেন বুমরা। দারুণ এক বলে ৪৩ রান করা গিলকে বোল্ড করে দিলেন ওভারটায় মোট ৬ রান দেওয়া বুমরা।
এরপর আবার বৃষ্টি আসার আগে হওয়ার পরের তিন ওভারেও দারুণ বল করেছেন মুম্বাইয়। বোল্ট, বুমরা ও অশ্বনি কুমারের করা ওই তিন ওভারে ৩ উইকেট হারানো গুজরাট তুলতে পারে মোটে ১৯ রান। ১৮তম ওভার শেষে আবার যখন খেলা থামল ডিএলএসের হিসাবে ৫ রানে পিছিয়ে পড়েছিল গুজরাট। শেষ পর্যন্ত আবার ম্যাচ শুরু হলো। আর জিতে গেল দলটি।
এর আগে মু্ম্বাই ইন্ডিয়ানসের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৩ রান উইল জ্যাকসের। প্রথম ওভারে ২ রানে ওপেনার রায়ান রিকেলটনের বিদায়ের পর উইকেট আসা ইংলিশ ব্যাটসম্যানের ৩৫ বলের ইনিংসটি সাজানো ৫টি চার ও ৩ ছক্কায়। জ্যাকস ছাড়া মুম্বাইয়ের হয়ে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন সূর্যকুমার যাদব ও করবিন বশ।
জ্যাকসকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৭১ রানের জুটি গড়া সূর্যকুমার ২৪ বলের ইনিংসে কোনো ছক্কা মারতে না পারলেও পেয়েছেন ৫টি চার। দলকে ৯৭ রানে রেখে সূর্যর বিদায়ের পর ২৬ রানের মধ্যেই আরও ৪টি উইকেট হারায় মুম্বাই। এরপর আটে নামা বশের ২২ বলের ২৭ রানের ইনিংসেই মূলত ১৫০ পেরোয় স্বাগতিকেরা।