নাঈমের শুরুর ঝড় ছাড়া আর কিছুই পেল না চট্টগ্রাম, জয় দিয়ে শুরু রংপুরের
ম্যাচের শুরুর দিকে মোহাম্মদ নাঈমই যা একটু ঝোড়ো ব্যাটিং করলেন, বাকি ম্যাচজুড়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসের বলার মতো হলো না কিছুই। না ব্যাটিংয়ে, না বোলিংয়ে।
আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাহিম আশরাফের বোলিং নৈপুণ্যে চট্টগ্রামকে ১৭.৫ ওভারে মাত্র ১০২ রানে অলআউট করেছে রংপুর রাইডার্স। এরপর ডেভিড ম্যালানের ফিফটিতে ভর করে সেই রান তারা ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫ ওভারেই টপকে গেছে। ৭ উইকেটের জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে রংপুর।
টুর্নামেন্টের প্রথম দিন একাদশে দুই বিদেশি নিয়েই নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে হারিয়ে দিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। আজ দলটির একাদশে যোগ হন ইংলিশ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অ্যাডাম রসিংটনও। ওপেনিংয়ে নেমে তিনি ২ বলে ১ রান করে আউট হয়ে গেলেও আরেক প্রান্তে ঝড়ই তুলেছিলেন তাঁর সঙ্গী নাঈম।
নাহিদ রানার তৃতীয় ওভারে তিন চার আর ১ ছক্কায় তিনি নেন ২১ রান। তবে পরের ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে যান ২০ বলে ৩৯ রান করা নাঈম। চট্টগ্রামের লড়াইও যেন থেমে যায় সেখানেই।
নাঈমের পরে আর মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান ব্যক্তিগত সংগ্রহ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পেরেছেন। তাদের মধ্যে মির্জা তাহির বেগ ২৪ বলে ২০ আর আবু হায়দার ২১ বলে ১৩ রান করেন। চট্টগ্রামের ইনিংস প্রায় একাই ধসিয়ে দেন ফাহিম আশরাফ। পাকিস্তানের এই পেসার ৩.৫ ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।
এরপর ওভারপ্রতি পাঁচের কিছু বেশি লক্ষ্য নিয়ে নেমে খুব বেশি সময় নেয়নি রংপুর। ৩০ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা। একটা সময় মনে হচ্ছিল, জয়টা আসবে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানেই। লিটন দাস ও ডেভিড ম্যালান উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে ফেলেন ৯১ রান।
তবে ১৩তম ওভারে মুকিদুল ইসলাম এসে পাঁচ বলের মধ্যে দুই উইকেট নিয়ে রংপুরের জয় একটু বিলম্বিত করেন। ৩১ বলে ৪৭ রান করা লিটন আর শেষে ৩ বলে ১ রান করা তাওহিদ হৃদয়কে আউট করেন মুকিদুল। পরের ওভারে মাহমুদুল হাসানের স্পিনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪৭ বলে ৫১ রান করা ম্যালানও। তাতে জয়-হারের ব্যবধান কমলেও রংপুরের জিততে অসুবিধা হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম রয়্যালস: ১৭.৫ ওভারে ১০২ (নাঈম ৩৯, মির্জা তাহির ২০, আবু হায়দার ১৩; ফাহিম ৫/১৭, মোস্তাফিজুর ২/১৯)।
রংপুর রাইডার্স: ১৫ ওভারে ১০৭/৩ (ম্যালান ৫১,লিটন ৪৭; মুকিদুল ২/৫)।
ফল: রংপুর রাইডার্স ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ফাহিম আশরাফ।