দুবার জীবন পেয়ে ডেভিডের ৮৩, জিতেছে তাঁর দলই

৫২ বলে ৮৩ রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার টিম ডেভিডএএফপি

দুই ম্যাচ আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন টিম ডেভিড। সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়ার দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সেই ডেভিড আজ দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। দুবার জীবন পেয়েও সেটি কাজে লাগাতে না পারা ব্যাটসম্যান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফিরেছেন ৮৩ রান করে।

তবে জিতেছে ডেভিডের অস্ট্রেলিয়াই। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ডারউইনে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ১৭৮ রানে অলআউট হয়। রান তাড়ায় ৯ উইকেটে ১৬১ রানে থেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৭ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।

তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ডেভিড যখন উইকেটে আসেন ৩০ রানে ৩ উইকেট নেই অস্ট্রেলিয়ার। শুরুতে ক্যামেরন ডেভিডকে নিয়ে ঝড় তোলেন। ডেভিড-গ্রিন চতুর্থ উইকেটে ১৬ বলেই যোগ করেন ৪০ রান।

দলকে ৭০ রানে রেখে গ্রিনের বিদায়ের পর আর ৫ রান যোগ হতেই বিদায় নেন মিচেল ওয়েন ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। বেন ডোয়ারশুইসকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটা এরপরই গড়েন ডেভিড। সপ্তম উইকেটে ৪২ বলে ৫৯ রান যোগ করেন দুজন। যে জুটিতে ডোয়ারশুইসের অবদান ছিল মাত্র ১৭।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেছেন রায়ান রিকেলটন
এএফপি

জুটি ভাঙার আগেই ফিফটি পেয়ে যাওয়া ডেভিড প্রথম জীবন পান ১৬তম ওভারে। ৫৬ রানে দাঁড়ানো ডেভিডের ক্যাচ ছাড়েন লং অন ফিল্ডার ট্রিস্টান স্টাবস। পরের দুই বলেই প্রোটিয়া স্পিনার সেনুরাম মুতুসামিকে পুল ও স্লগ সুইপ করে ছক্কা মেরে দেন ডেভিড।

সিঙ্গাপুরের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা ডেভিড দ্বিতীয়বার জীবন পেয়েছেন ১৯তম ওভারের প্রথম বলে। কোয়েনা মাফাকার বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ারে ক্যাচ ছাড়েন ডেভাল্ড ব্রেভিস। পরের বলেই অবশ্য আউট হয়ে যান ডেভিড, লং অনে এবার ক্যাচ নিতে ভুল করেননি স্টাবস। ফেরার আগে ৫২ বলে ৮৩ রান করার পথে ৮টি ছক্কা মারেন ডেভিড। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ১৩ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেছেন গ্রিন। ১৯তম ওভারে ২ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি পেসার মাফাকা ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম ৪ উইকেট পেলেন মাফাকা।

আরও পড়ুন

রান তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছেন রায়ান রিকেলটন। ৫৫ বল খেলা এই ওপেনার আউট হয়েছেন শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে। ৬ বলে ২১ রানের প্রয়োজন নিয়ে ওভারটা শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ডোয়ারশুইসের করা প্রথম বলটি ছিল স্লোয়ার, সে বলে রান পাননি রিকেলটন। পরের বলটায় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অসাধারণ এক ক্যাচের শিকার হয়ে ফেরেন প্রোটিয়া ওপেনার। লং অন সীমানায় লাফিয়ে উঠে ক্যাচ নিয়েও প্রথমে বলটিকে ছুড়ে দিয়ে মাঠে রাখা নিশ্চিত করেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর আবার লাফিয়ে মাঠে ঢুকে সীমানাদড়ির সামান্য ভেতরে ক্যাচটি নেন। পরের চার বলে মাত্র ৩ রানই যোগ করতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।

জর্জি লিন্ডার ক্যাচ নেওয়ার পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পরে সীমানায় দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে রিকেলটনকে ফিরিয়েছেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার
এএফপি

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ১৭৮ (ডেভিড ৮৩, গ্রিন ৩৫, ডোয়ারশুইস ১৭; মাফাকা ৪/২০, রাবাদা ২/২৯)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৬১/৯ (রিকেলটন ৭১, স্টাবস ৩৭; ডোয়ারশুইস ৩/২৬, হ্যাজলউড ৩/২৭, জাম্পা ২/৩৩)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ১৭ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: টিম ডেভিড।
আরও পড়ুন