অভিষেকে ৯১ রানে আউট শাহ পরান, ৯১ রানে আউটের যন্ত্রণা অমিতেরও

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকে ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি চট্টগ্রামের শাহ পরান। ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি সিলেটের অমিত হাসানও।

অভিষেকে ৯১ রানে আউট হয়েছেন চট্টগ্রামের শাহ পরানবিসিবি

অভিষেকে সেঞ্চুরি হারানোর যন্ত্রণা শাহ পরানের

২৪ বছর বয়সে আজ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হলো শাহ পরানের। চট্টগ্রাম বিভাগের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের অভিষেকটা হতে পারত রূপকথার মতো। সেঞ্চুরির খুব কাছেই পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নব্বইয়ের ঘরে থেমে যন্ত্রণায় পুড়তে হলো শাহ পরানকে।

চট্টগ্রামে খুলনা বিভাগের লেগ স্পিনার ইয়াসিন মুন্তাসিরের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। আউট হওয়ার সময় তাঁর রান ৯১। ১০০ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন। সেঞ্চুরিটা পেলে শাহ পরান বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণির অভিষেকে শতকের কীর্তি গড়তেন। এখন পর্যন্ত এই কীর্তি আছে তিনজনের—আসিফ আহমেদ, আফিফ হোসেন ও অমিত হাসান।

চট্টগ্রাম প্রথম দিন শেষ করেছে ৮৪.৪ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৪০ রানে। দলের পক্ষে ফিফটি পেয়েছেন সাজ্জাদুল হক (৫৬) ও ইরফান শুক্কুর (৬২)। নাঈম হাসান করেছেন ৪৫ রান। দল ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর সাজ্জাদুলকে সঙ্গে নিয়ে ৯৪ রানের জুটি গড়েন শাহ পরান। এরপর সাজ্জাদুল ও ইরফান মিলে যোগ করেন ৬৯ রান। সাজ্জাদুল ফেরার পর নাঈমকে নিয়ে আরেকটা ৫২ রানের জুটি গড়েন ইরফান। খুলনার পেসার সফর আলী নিয়েছেন ৪ উইকেট, খরচ করেছেন ৫১ রান।

বরিশালের হয়ে ৫৮ রান করছেন সালমান হোসেন
বিসিবি ফাইল ছবি

বরিশাল ২১২ রানে অলআউট

খুলনায় বরিশাল বিভাগ গুটিয়ে গেছে ২১২ রানে। জবাবে রাজশাহী দিন শেষে বিনা উইকেটে ৬ রান তুলেছে। বরিশালের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৮ রান এসেছে সালমান হোসেনের ব্যাট থেকে। ওপেনার ইফতিখার হোসেন করেছেন ৪০। শেষ ৫ উইকেট দলটি হারায় মাত্র ৫৬ রানে। রাজশাহীর পাঁচ বোলারই নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

দেরিতে শুরু, বিপদে সিলেট

আউটফিল্ড ভেজা থাকায় কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিলেট–রংপুর ম্যাচ শুরু হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষও হয় আগেভাগে। দিন শেষে ৪৮.১ ওভারে ৭ উইকেটে সিলেটের রান ১৭২। এর অর্ধেকের বেশি এসেছে অমিত হাসানের ব্যাট থেকে। ১১০ বলে ১১টি চার মেরে ৯১ রানে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন মুকিদুলকে। হাতছাড়া হয়েছে তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দশম সেঞ্চুরির সুযোগ।

৯১ রানে আউট হয়েছেন সিলেটের অমিত হাসান
বিসিবি ফাইল ছবি

দিনের আরেক ম্যাচে ৩২ ওভারই খেলা সম্ভব

কক্সবাজারের আরেক ভেন্যুতে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগের দিন গেছে অল্প খেলে। ৩২ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০০। মোহাম্মদ নাঈম ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। হেলমেটে বলের আঘাত পাওয়ার পর মাঠ ছেড়েছেন ২৩ রানে থাকা আবদুল মজিদ।

আরও পড়ুন