এবার বিপিএলে স্থানীয় তরুণ ক্রিকেটাররা ভালো করছেন। ৪ ম্যাচ খেলা সিলেটের ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে। ১৬৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ৩ ফিফটিতে ১৯৫ রান তাঁর। ৪ ম্যাচে ১১৮.৪৩ স্ট্রাইক রেটে একটি ফিফটিসহ মোট ১৬৭ রান নিয়ে দুইয়ে সিলেটের নাজমুল হোসেন। রান তোলায় শীর্ষ পাঁচে দুই পাকিস্তানি আজম খান ও উসমান খানের বাইরে আছেন আরও এক বাংলাদেশি—রনি তালুকদার। রংপুর রাইডার্সের এ ব্যাটসম্যান ২ ম্যাচে করেছেন ১০৭ রান। একটি ফিফটিসহ স্ট্রাইকরেট ১৮১.৩৫।

বোলিংয়ে শীর্ষ পাঁচেও আছেন তিন বাংলাদেশি—ঢাকা ডমিনেটরসের পেসার আল-আমিন হোসেন, সিলেটের অধিনায়ক ও পেসার মাশরাফি ও রেজাউর রহমান। ২ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আল আমিন। ৪ ম্যাচে তাঁর সমান উইকেট নিয়ে দুইয়ে মাশরাফি। ৪ ম্যাচে ৬ উইকেট নেওয়ার পেসার রেজাউর চারে। তৃতীয় ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির (৪ ম্যাচে ৬ উইকেট) ও জিম্বাবুয়ের স্পিন অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা (২ ম্যাচে ৪ উইকেট)।

ব্যাটিং-বোলিংয়ে শীর্ষ পাঁচের এই তালিকার বাইরেও স্থানীয় ক্রিকেটাররা বেশ ভালো পারফর্ম করছেন। সাকিব তাঁদের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘অনেকেই ভালো খেলছে। শান্ত (নাজমুল হোসেন), তৌহিদ হৃদয়, জাকির (জাকির হাসান) খুবই ভালো ব্যাট করছে। অন্যান্য দলের খেলোয়াড়েরাও ভালো ব্যাটিং করছে। সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে, স্থানীয় ব্যাটসম্যানরা বেশ ভালো করছে। এটা আমাদের জন্য খুব ভালো একটি দিক। এ জন্য প্রশংসাটা পিচের। সুযোগটা বাড়ছে রান করার।’

সাকিব একটি দুশ্চিন্তার জায়গাও জানিয়েছেন। স্থানীয় বোলারদের চেয়ে স্থানীয় ব্যাটসম্যানরা বেশি ভালো করছেন। ভালো উইকেটে কীভাবে ভালো বল করতে হয়, সেটার ওপর জোর দিলেন সাকিব, ‘আমাদের দেশি বোলাররা ওভাবে ভালো বল করতে পারছে না। এমন ভালো পিচে কীভাবে বল করতে হয়, সেটাও আমাদের শিখতে হবে।’