কোহলি ‘ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর’

ভারতের তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলিএএফপি

দুবাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কাল ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩০০তম ম্যাচ খেলেন বিরাট কোহলি। ওয়ানডেতে মাত্র ২২ জন খেলোয়াড় এই মাইলফলকের দেখা পেয়েছেন। তবে কোহলি এক জায়গায় আলাদা। বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে ওয়ানডেতে কোহলির চেয়ে বেশি ম্যাচ আর কেউ খেলেননি। টি-টোয়েন্টির এ রমরমা সময়ে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ খেলায় সবার একটু অনাগ্রহ থাকলেও কোহলি একদম ব্যতিক্রম। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও অন্য দুই সংস্করণে চুটিয়ে খেলছেন ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। কারণটা বলেছেন ভারতেরই কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। প্রতিনিয়ত উন্নতির ইচ্ছা, মাঠ ও মাঠের বাইরে ক্রিকেটের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার জন্যই কোহলি আলাদা, মনে করেন গাভাস্কার।

কোহলির ৩০০তম ওয়ানডের মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচে স্টার স্পোর্টসে তাঁর প্রশংসা করে গাভাস্কার আরও একটি কথা বলেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর (আচার্য)’ হলেন কোহলি।

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭ বছর হয়ে গেল কোহলির। দীর্ঘদিন ধরে কোহলির দাপিয়ে খেলা এবং নিজেকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার পেছনে রহস্য কী—জানতে চাওয়া হয়েছিল গাভাস্কারের কাছে।

টেস্টে প্রথম ১০ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া গাভাস্কারের উত্তর, ‘আমার মনে হয়, গতকালের চেয়ে আজ আরও ভালো হব, এই ইচ্ছাটাই মূল কারণ। নিজের অর্জন নিয়ে সে কখনোই সন্তুষ্ট হয় না এবং সব সময় আরও বেশি কিছু করতে চায়। ভারতের হয়ে খেলায় তাঁর মধ্যে যে গর্ব শোভা পায়, সেটা সম্মানজনক। লাখো ক্রিকেটার আছেন, ভারতের হয়ে খেলা যাদের স্বপ্ন। সেটা হোক টেস্ট ম্যাচ, ৫০ ওভার ম্যাচ কিংবা টি-টোয়েন্টি। নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করা প্রতিটি খুদে ক্রিকেটারেই স্বপ্ন ও লক্ষ্য। এই লক্ষ্যকে জিইয়ে রাখাই কোহলির সব ম্যাচে ভালো করতে চাওয়ার চাবিকাঠি।’

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কার।
গাভাস্কারের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল

ভারতের সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে ৩০০ ওয়ানডে খেললেন কোহলি। মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, শচীন টেন্ডুলকার, এমএস ধোনি, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলী ও যুবরাজ সিং মাইলফলকটির দেখা পেয়েছেন এর আগে।

আরও পড়ুন

ভারতের ক্রিকেটকে যদি বিশ্ববিদ্যালয় ধরা হয়, তাহলে কোহলি কেন সেখানকার চ্যান্সেলর, সেই ব্যাখ্যায় গাভাস্কার বলেছেন, ‘সে যত রান করেছে, ব্যাপারটা শুধু সে জন্য নয়। মাঠে তার নিবেদনটা দেখুন—যেভাবে ডাইভ দেয়, উইকেটকিপার বা বোলারের কাছে যেভাবে বল ফেরত পাঠায় এবং দলের জন্য যেভাবে কিছু রান ঠেকানোর চেষ্টা করে। এসব হৃদয় নিংড়ানো নিবেদনগুলো ভারতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই শিক্ষার্থী থেকে তার প্রায় ক্রিকেটের প্রফেসর হয়ে ওঠাটা দারুণ কিছু। সে ছাত্র থেকে শিক্ষক ও তারপর যদি বলি, ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হয়েছে। যেভাবে সে প্রস্তুতি নেয়, সেটা শুবমান গিল ও যশস্বী জয়সোয়ালদের জন্য দারুণ শেখার সুযোগ।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গতকাল ব্যাটে বড় রান পাননি কোহলি
এএফপি

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কাল ৪৪ রানে জিতলেও ব্যাটে রান পাননি কোহলি। ১১ রানে পয়েন্টে গ্লেন ফিলিপসের অবিশ্বাস্য ক্যাচের শিকার হন। ভারত অবশ্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আগেই সেমিফাইনালে উঠেছে। দুবাইয়ে আগামীকাল সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ভারত।