পন্তের উইকেটের সঙ্গে সুযোগ হারানোর আক্ষেপ

ঋষভ পন্তকে ফেরানোর পর মিরাজের উল্লাসশামসুল হক

প্রথম সেশনে ৩ উইকেট, এরপর দ্বিতীয় সেশনের শুরুর দিকেই আরেকটি। চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় সেশনটিও নিজেদের করে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ। ঋষভ পন্ত ফেরার পর চেতেশ্বর পূজারা ও শ্রেয়াস আইয়ারের অবিচ্ছিন্ন ৬২ রানের জুটিতে অবশ্য তা হয়নি। ৪ উইকেটে ১৭৪ রান নিয়ে প্রথম দিনের চা-বিরতিতে গেছেন সফরকারীরা। পূজারা অপরাজিত ৪২ রানে, শ্রেয়াস ব্যাটিং করছিলেন ৪১ রানে। অবশ্য সেশনে দুটি সুযোগও পেয়েছিল বাংলাদেশ। পূজারার মোটামুটি সহজ ক্যাচ ফেলার পর শ্রেয়াসের কঠিন একটি ক্যাচ নিতে পারেননি উইকেটকিপার নুরুল হাসান।

সেশনের প্রথম ওভারেই ইবাদতের বলে আউটসাইড-এজে পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা, ডান দিকে ডাইভ দিলেও নিতে পারেননি নুরুল। পূজারা তখন ব্যাটিং করছিলেন ১২ রানে।

আরও পড়ুন

সেশনে প্রথম উইকেটটি আসে ষষ্ঠ ওভারে। ওভার দ্য উইকেট থেকে করা মিরাজের অ্যাঙ্গেল করে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে নিচু হয়ে আলতো করে খেলার চেষ্টায় নিজের বিপদ ডেকে আনেন পন্ত, ইনসাইড-এজের পর হন বোল্ড। ঠিক আগের বলেই মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা মেরেছিলেন শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলা ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।

অবিচ্ছিন্ন থেকেই চা-বিরতিতে গেছেন পূজারা ও শ্রেয়াস
শামসুল হক

প্রথম সেশনের মতো এবারও ইবাদতকে দিয়ে ৬ ওভারের টানা স্পেল করান সাকিব। নিজে দিনের দ্বিতীয় ওভারটি করতে আসেন ৪৮তম ওভারে। সে ওভারেই কাট করতে গিয়ে এজড হয়েছিলেন আইয়ার, তবে কঠিন সুযোগটি নিতে পারেননি নুরুল। সেশনে ভারত মেরেছে ১১টি বাউন্ডারি। বিরতির ঠিক আগের ওভারে পার্টটাইমার ইয়াসির আলীকেও বোলিংয়ে এনেছিলেন সাকিব।

আরও পড়ুন

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সকালে প্রথম ৭ ওভারে ৬টি বাউন্ডারিতে শুরুটা ইতিবাচক করেছিল ভারত। অফ স্টাম্পের বাইরে দারুণ ছিলেন দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও শুবমান গিল। ষষ্ঠ ওভারেই স্পিনার তাইজুল ইসলামকে আনেন সাকিব। ধীরে ধীরে কমে আসতে শুরু করে রান। একসময় ৩৫ বলের ব্যবধানে ৭ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় ভারত। তাইজুলকে লেগ স্টাম্পের ওপর থেকে প্যাডল সুইপ করতে গিয়ে ধরা পড়েন গিল, স্লিপ থেকে লেগ স্লিপ পজিশনে গিয়ে ধরার মতো যথেষ্ট সময় পান ইয়াসির আলী।

খালেদের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে আনেন অধিনায়ক রাহুল। ঠিক পরের ওভারেই বাংলাদেশ পেয়ে যায় পরের উইকেটটিও। চারে আসা কোহলি তাইজুলের লেগ স্টাম্পে পড়া বলটা পেছনের পায়ে ভর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। স্কয়ারডআপ হয়ে সেটি মিস করে যান, খোলা চোখেই আউট মনে হচ্ছিল তাঁকে। মাইকেল গফের সিদ্ধান্ত যদিও রিভিউ করেন কোহলি, তবে তাতে লাভ হয়নি। ৫ বলে ১ রান করেই ফিরতে হয় তাঁকে।

ক্রিজে এসে পন্ত শুরু করেন সহজাত প্রতি-আক্রমণ। তাইজুলের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে মারেন প্রথম চার, যেটি ভারত ইনিংসে ১৪ ওভারের মধ্যে প্রথম বাউন্ডারি। সেই তাইজুলের করা ২৪তম ওভারে প্যাডল করে চারের পর ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে ওয়াইড লং অন দিয়ে মারেন ইনিংসের প্রথম ছক্কা। বিরতির পরও তিনি আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছিলেন, তবে খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি সেটি।

আরও পড়ুন