এর আগে শেষ কবে ছক্কা মেরেছেন, ভুলে গেছেন নাজমুলই

দলের জয়ে ম্যাচসেরাও নাজমুলপ্রথম আলো

একটি টি–টোয়েন্টি ইনিংসে দুটি ছক্কা। এটা কোনো আলোচনার বিষয় হলো! হলো কী, এরই মধ্যে হয়ে গেছে। সেটিও যাঁর দুই ছক্কা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেই নাজমুল হোসেনের পারফরম্যান্সের কারণেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ইনিংসের ১৭তম ওভারে দাসুন শানাকার বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে মারা ছক্কাটি এ বছরে নাজমুলের প্রথম। নাজমুলও সংবাদ সম্মেলনে অকপটে স্বীকার করেছেন, শেষ কোন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে তিনি ছক্কা মেরেছেন, সেটা নিজেই ভুলে গেছেন।

পরিসংখ্যান নিয়ে আগ্রহ না থাকলে নাজমুলের অবশ্য মনে থাকার কথাও না। বাংলাদেশ অধিনায়ক সর্বশেষ ছক্কা মেরেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে, ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এরপর নাজমুল ওয়ানডে খেলেছেন ১১টি, আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ৫টি আর টেস্ট খেলেছেন ২টি। সঙ্গে পুরো বিপিএল তো আছেই। দীর্ঘ এই সময়ে কোনো ছক্কার দেখাই পাননি তিনি।

আরও পড়ুন

৩৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে নাজমুলের মারা দ্বিতীয় ছক্কায় নিশ্চিত হয়েছে জয়। হয়েছেন ম্যাচসেরাও। পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেই মজা করলেন, ‘মনে নেই (শেষ কবে ছক্কা মেরেছি)। আসলেই মনে নেই। আমি শুনেছিলাম, একটাও ছয় মারিনি। আপনাদের মাধ্যমেই শুনেছি। তবে এটা ঠিক যে ছক্কা মারাটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়। আজ দুটি মেরেছি। ভালো লাগছে।’

ছক্কা, ফিফটি, দলের জয়! সব এল একটি শটে
প্রথম আলো

ছক্কা না মারতে পারলেও অনেক সময় বড় ইনিংস খেলে থাকেন ব্যাটসম্যানরা। তবে নাজমুলের ক্ষেত্রে তেমন হয়নি। এ ম্যাচের আগে তো অনেক দিন রানের বাইরে। বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১২ ইনিংসে করেছিলেন মাত্র ১৭৫ রান, গড় ১৪, স্ট্রাইক রেট ৯৩। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অর্ধশতকটি এসেছে ৯ ইনিংস পর। পরিসংখ্যানটা একটু মনে করিয়ে দিতেই নাজমুল বলে উঠলেন, ‘ভাই, এত পরিসংখ্যান কীভাবে দেখেন (হাসি)।’

আরও পড়ুন

এরপর ব্যাটিং নিয়ে নিজের দর্শনটাও আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন। নিজের রানে ফেরা, ফিফটি করা, ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা—নাজমুলের কাছে এসব ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলের জয়টাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ‘৫০ রান অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। দলের জন্য রান করছি, এটাই আসল।’