দলে ছয় টেস্ট ক্রিকেটার, তবু অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য দলের কাছে ‘এ’ দলের ইনিংস ব্যবধানে হার
শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য দল ও শেফিল্ড শিল্ড চ্যাম্পিয়ন সাউথ অস্ট্রেলিয়ার কাছে ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ডারউইনে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ২৬৬ রান পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ‘এ’ দল আজ নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ২৫৪ রানে। তাতে ইনিংস ও ১২ রানে হেরেছে মাহিদুল ইসলামের দল।
আজ তৃতীয় দিনে ৩ উইকেটে ১০৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। শাহাদাত হোসেন তখন ৪২ ও ইয়াসির আলী ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ছয়টি করে টেস্ট খেলা দুজনের কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শাহাদত ৭ রান যোগ করে ৪৯ রানে আউট হওয়ার পর ইয়াসির আউট হন ৩৬ রানে।
৩ চার ও ১ ছক্কায় অধিনায়ক মাহিদুল করেন ৩২, স্পিনার নাঈম হাসানের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রানে। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান এসেছে স্পিনার হাসান মুরাদের ব্যাট থেকে। শেষ উইকেটে হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়েন মুরাদ।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১১৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। টিকতে পারে মাত্র ৩৪.৫ ওভার। শেষ জুটি প্রতিরোধ না গড়লে এক শও হতো না অবশ্য।
কারণ, প্রথম ইনিংসে ৬৬ রানেই ৯ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটা হয় এরপরই। নয়ে নামা রাকিবুল হাসান শেষ ব্যাটসম্যান এনামুল হককে নিয়ে ১০ম উইকেটে যোগ করেন ৪৮ রান। রাকিবুল করেন ২২ রান। এনামুল হক অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে। সাউথ অস্ট্রেলিয়া নিজেদের প্রথম ইনিংসে করে ৩৮০ রান।
আগামী বছর আগস্টে অস্ট্রেলিয়ায় দুটি টেস্ট খেলার কথা বাংলাদেশের। সেই সিরিজ মাথায় রেখেই ডারউইনে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি চার দিনের ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। উদ্দেশ্য ছিল, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনের সঙ্গে খেলোয়াড়দের পরিচয় করিয়ে দেওয়া। তবে পুরো অস্ট্রেলিয়া সফরটাই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের জন্য ভালো যায়নি। এই ম্যাচের আগে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে ১১ দলের মধ্যে নবম হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ‘এ’ দল: ১১৪ ও ২৫৪ (শাহাদাত ৪৯, হাসান ৪২; বাকিংহাম ৩/৫২, অ্যাগার ২/৫৬)। সাউথ অস্ট্রেলিয়া: ১ম ইনিংসে ৩৮০ (সাংহা ১৪৩, নিয়েলসেন ৮৬, ফ্রেজার-ম্যাগার্ক ৫২; এনামুল ৩/৬১, মুরাদ ৩/৭৮, হাসান ২/৬৮)।
ফল: সাউথ অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ১২ রানে জয়ী।