নাজমুল বললেন, সব ক্রিকেটারকে সমানভাবে দেখেন সালাহউদ্দীন
স্থানীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা মোহাম্মদ সালাহউদ্দীনের। জাতীয় দলে তিনি শুরু করেছিলেন সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে। পরে ব্যাটিং বিভাগের দায়িত্বও তাঁর কাঁধে পড়ে।
বিসিবির সঙ্গে সালাহউদ্দীনের চুক্তি ছিল ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন—আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর আর বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকছেন না। এর আগে তাঁকে নিয়ে নানা আলোচনা–সমালোচনা হয়েছে। কিছু ক্রিকেটারের প্রতি তাঁর পক্ষপাত নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
তবে টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের দাবি, সালাহউদ্দীনের চোখে সবাই ছিলেন সমান। তাঁর সঙ্গে কাজ করাটাও ক্রিকেটারদের কাছে উপভোগ্য ছিল। সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে নাজমুল বললেন, ‘তিনি (সালাহউদ্দীন) যত দিন, যতটুকু কাজ করেছেন, অনেক উপভোগ করেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্যার প্রত্যেক ক্রিকেটারকে চেষ্টা করেন সমানভাবে দেখার এবং প্রত্যেক ক্রিকেটারকে প্রায়োরিটি দেন। যার যে জায়গায় ঘাটতি আছে, ওনার সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করেন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে একটা দূরত্ব থেকে যায় বা বাইরে থেকে অনেক কিছু মনে হয়, যেটা আমরা এখন শুনছি।’
শোনা সেই কথাগুলো যে সত্য নয় তা–ও স্পষ্টভাবেই বলেছেন নাজমুল, ‘সব কথার সত্যতা নেই। আমরা সবাই খুশি ছিলাম। সম্প্রতি যতগুলো সিরিজে আমি ছিলাম, সব উপভোগ করেছি। আমি বিশ্বাস করি, উনি যত দিন কাজ করেছেন, খুব ভালো কাজ করেছেন।’
সালাহউদ্দীনের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের আগেই আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুলকে। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক দেশের হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন। পরে ঘরোয়া ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও কোচ হিসেবে কাজ করেছেন।
জাতীয় দলে তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে শান্ত বললেন, ‘খুব রোমাঞ্চিত আমরা সবাই। ওনার যে অভিজ্ঞতা—এত বছর ক্রিকেট খেলেছেন, এখন কোচ হয়ে এসেছেন। টিভিতে ওনাকে খেলতে দেখেছি, কিন্তু ড্রেসিংরুমে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়নি। আমি যতটুকু জানি, উনি এই সিরিজের জন্য এসেছেন। সময় কম, তাই টেকনিক্যাল দিক থেকে কাজের সুযোগ হয়তো সীমিত। কিন্তু উনি যতটা পারেন অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। আশা করি, সেটা আমাদের কাজে লাগবে।’