নাঈমের হ্যাটট্রিক

নাঈম হাসান। ছবিটি পুরোনো। আজ বল স্মারক হিসেবে রাখার মতো পারফরম্যান্স করেছেন এই স্পিনারছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী বিভাগের পেসার মোহর শেখকে দিয়ে শুরু। এরপর সাকলাইন সজীব ও নাহিদ রানাকে আউট করে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে নেন চট্টগ্রাম বিভাগের স্পিনার নাঈম হাসান। আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই কীর্তি গড়েন এই অফ স্পিনার। বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণিতে এটি ১৯তম হ্যাটট্রিক, এবারের জাতীয় লিগে দ্বিতীয়। এর আগে সিলেট বিভাগের পেসার রেজাউর রহমান ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন।

আরও পড়ুন

নাঈমের হ্যাটট্রিকের শুরুটা হয় রাজশাহীর ইনিংসের ৪৭তম ওভারের শেষ বলে। মোহর শেখকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন নাঈম। ৪৯তম ওভারে আবার বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই বোল্ড করেন সাকলাইনকে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা নাহিদকেও বোল্ড করেন নাঈম।

রাজশাহীর হয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে রান করতে পারেননি মুশফিক
ছবি: প্রথম আলো

নাঈমের হ্যাটট্রিকে রাজশাহীর ইনিংস থামে ৪৮.২ ওভারে ১৮৯ রানে। সর্বোচ্চ ৭৩ রান এসেছে ওপেনার সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে। রাজশাহীর হয়ে এ ম্যাচে খেলা বিশ্বকাপ–ফেরত তানজিদ হাসান (১০), নাজমুল হোসেন (৩১) ও মুশফিকুর রহিম (০) বিশেষ কিছু করতে পারেননি। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। নাঈমসহ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন বিশ্বকাপ দলে থাকা পেসার হাসান মাহমুদ।

আরও পড়ুন

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে দিনের আরেক ম্যাচে সিলেট বিভাগকে ১২৫ রানে অলআউট করেছে রংপুর বিভাগ। রংপুরের আবদুর গাফফার ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে রংপুরও। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১২৪ রানে প্রথম দিন শেষ করেছে রংপুর। সিলেটের পেসার আবু জায়েদ ৩ উইকেট নিয়েছেন।

আবু জায়েদ
ফাইল ছবি

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে বরিশাল বিভাগ তাদের প্রথম ইনিংসে ২৩৯ রান করেছে। টপ অর্ডার ব্যর্থতার পর কামরুল ইসলাম (৬১) ও তানভির ইসলামের (৬৪) অর্ধশত বরিশালকে লড়াই করার মতো রান পৌঁছে দেয়। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন বিশ্বকাপ খেলে আসা শেখ মেহেদী হাসান। শেষ বেলায় ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৬ রান করেছে।