ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে ক্ষুব্ধ রমিজ, কেড়ে নিতে চাইলেন ফোনও

পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজাছবি: টুইটার

শ্রীলঙ্কার কাছে এশিয়া কাপের ফাইনালে হারের পর থেকেই চাপে আছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। হারের শোক কাটানোর আগেই শোয়েব মালিক, কামরান আকমলসহ অনেক ক্রিকেটার দল নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে।

স্বাভাবিকভাবেই দলের হার ও বিরূপ পরিস্থিতি নিয়ে বেকায়দায় আছেন বোর্ড সভাপতি রমিজ রাজাও। এর মধ্যেই ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে ও ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে নতুন বিতর্কে জড়িয়েছেন রমিজ।

এশিয়া কাপের ফাইনাল হারের পর এমনিতেই মন ভালো থাকার কথা নয় রমিজের। এর মধ্যে ভারতীয় সাংবাদিকের এক প্রশ্নে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন সাবেক এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ভারতীয় সাংবাদিকের মুখে ‘আওয়াম’ (যার বাংলা অর্থ জনগণ) শব্দটি শুনে খেপে যান রমিজ। রেকর্ডিং বন্ধ করতে সেই সাংবাদিকের ফোনও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন পিসিবি সভাপতি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া রমিজ ও সাংবাদিককের কথোপকথনটিতে দেখা যায়, সাংবাদিক রমিজকে জিজ্ঞেস করেন, ‘জনগণ বেশ অসন্তুষ্ট, তাদের জন্য কোনো বার্তা?’ এ প্রশ্ন শুনে বিরক্তি আটকাতে না পারা রমিজ বলেছেন, ‘আপনি মনে হয় ভারত থেকে এসেছেন, আপনার দেশের জনগণ তো মনে হয় অনেক খুশিতে আছে!’ পাল্টা উত্তর দিয়ে ভারতীয় সেই সাংবাদিক বলেন, ‘আমরা খুশি নই।’

দুবাইয়ে পাকিস্তানকে হতাশ করেছে শ্রীলঙ্কা
এএফপি

সাংবাদিকের উত্তর শুনে পাল্টা প্রশ্ন করেন রমিজ, ‘কোন মানুষের কথা বলছেন আপনি?’ এবার সাংবাদিক বলেন, ‘আমি দেখেছি পাকিস্তানের মানুষ কাঁদছে। আমি কি ভুল বলছি রমিজ ভাই?’ এরপর রমিজ তাঁকে বলেন, ‘আপনি জনগণকে সাধারণ অর্থে ব্যবহার করছেন।’

আরও পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৩ রানের হারের পর দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম ছাড়ার সময়ই মূলত কয়েকজন সাংবাদিক কথা বলার জন্য রমিজকে অনুরোধ করেন। সেখানেই ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে বচসায় জড়ান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি।

তবে ঘটনা শুধু বিতণ্ডাতেই শেষ হয়ে যায়নি। এ সময় সাংবাদিকের ফোনও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন রমিজ। এরপর অন্য এক ব্যক্তি রমিজের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করলেও তাঁকেও সরিয়ে দেন তিনি। সেই ব্যক্তিকে রমিজ বলেন, ‘আপনার হাত আমার কাছ থেকে সরান। আর আপনি ক্যামেরা থেকে খানিকটা দূরে যান।’