সেঞ্চুরি করে সাকিবকেই ধন্যবাদ ইফতিখারের

সেঞ্চুরি পেয়েছেন ইফতিখার আহমেদ, সাকিব আল হাসানের সঙ্গে গড়েছেন রেকর্ড জুটিশামসুল হক

শেষ পর্যন্ত কে সেঞ্চুরি করবেন? সাকিব নাকি ইফতিখার? প্রেসবক্সে তখন চলছিল সে আলোচনা। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের এই দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যে শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন ইফতিখার আহমেদ। সাকিব থেমেছেন তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে। তবে ইফতিখার তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির জন্য সাকিবকেই ধন্যবাদ দিয়েছেন।

বরিশালের ৬৭ রানের জয়ের দিন ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ইফতিখার সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল তিন সংস্করণেই সেঞ্চুরি করার। উইকেটে সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হচ্ছিল। তাঁকে বলছিলাম যে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করার স্বপ্নের কথা। তিনিও সমর্থন দিচ্ছিলেন।’

৭০ রানে ছিলাম। তখন সাকিব ভাইকে আমি বলেছিলাম, ‘আমি শতরানের পেছনে ছুটি। যত বেশি স্ট্রাইক পাব, তত ভালো।’ তিনি বলেছিলন, ‘আমি আপনাকে সাপোর্ট দিচ্ছি। আপনি ছুটতে থাকেন।
ইফতিখার আহমেদ, ফরচুন বরিশালের ব্যাটসম্যান

ব্যক্তিগত ৭০ রানের সময় সাকিবের সঙ্গে সেঞ্চুরি নিয়ে কথা হয় ইফতিখারের। এরপর থেকেই তাঁকে স্ট্রাইক দিয়ে তিন অঙ্কে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেন সাকিব, ‘৭০ রানে ছিলাম। তখন সাকিব ভাইকে আমি বলেছিলাম, ‘আমি শতরানের পেছনে ছুটি। যত বেশি স্ট্রাইক পাব, তত ভালো।’ তিনি বলেছিলন, ‘আমি আপনাকে সাপোর্ট দিচ্ছি। আপনি ছুটতে থাকেন।’

ইনিংসের ১৮তম ওভারে সাকিব খেলছিলেন ৭২ রানে, আর ইফতিখারের রান ছিল ৭০। সেখান থেকে ইফতিখার শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ১০০ রানে পৌঁছে যান, সাকিবের ইনিংস থেমেছে ৪৩ বলে ৮৯ রানে।

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পর ইফতিখার আহমেদের উল্লাস
শামসুল হক

দুজন মিলে অবশ্য ঠিকই রেকর্ড গড়েছেন। পঞ্চম উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন ১৯২ রান। টি-টোয়েন্টিতে যেটি পঞ্চম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটি ছিল বার্মিংহাম বিয়ারসের অ্যাডাম হোসে ও ড্যান মুসলির। ২০২০ সালে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে দুজন যোগ করেছিলেন ১৭১ রান।

এই রেকর্ডের কথাটা ইফতিখার জেনেছেন সংবাদ সম্মেলনে এসে। তথ্যটা শুনতেই মুখে চওড়া হাসি দেখা গেল ইফতেখারের, ‘এটা তো জানতাম না, এটা তো আনন্দের খবর!’ পরে নিজের সেঞ্চুরিটাকে তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস আখ্যা দিলেন, ‘এ রকম ইনিংস নেই। তবে ভালো ইনিংস বেশ কয়েকটিই খেলেছি। কিন্তু এটা আমার জীবনের সেরা ইনিংস হয়ে থাকবে। কারণটা হলো আমি খুব উপভোগ করে ইনিংসটি খেলেছি। আবার দলও ভুগছিল। ৩-৪ উইকেট আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করতে এ রকম ইনিংস খেলা, জয় উদ্‌যাপন করা বড় বিষয়। আনন্দের বিষয়। দলের জয়ের থেকে বড় কিছু নেই।’

আরও পড়ুন

ইফতিখার আজ স্পিনের বিপক্ষে খুনে মেজাজে ব্যাট করেছেন। বিশেষ করে রংপুরের দুই অফ স্পিনার মেহেদী হাসান ও শামীম হোসেনের বলে হাত খুলে খেলেছেন তিনি। ইফতিখার নিজেই তাঁর স্পিন-প্রীতির কথাও জানিয়েছেন, ‘স্পিনারদের আমি টার্গেট করেছিলাম। যখন অফ স্পিনার এল, তখন যত বেশি পারি রান করে নিতে চাইছিলাম। কয়েক ওভারে দ্রুত কিছু রান তুলে নিতে পারলে স্কোরটা বড় করার সম্ভাবনা জাগে। আমি সেটাই করেছি। সেখান থেকেই আমাদের মোমেন্টাম মিলেছে। আমি স্পিন বোলিং পছন্দ করি (হাসি)।’