বিশ্বকাপে তাপমাত্রা ও বায়ুদূষণ নিয়ে সোচ্চার ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের ইউনিয়ন

দিল্লিতে ধোঁয়া নিয়ে যত দুশ্চিন্তাএএফপি

জলবায়ু–সংকট মোকাবিলায় ক্রিকেট কর্তৃপক্ষকে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের ইউনিয়ন (পিসিএ)। ভারতে চলমান বিশ্বকাপে অতিরিক্ত গরম ও বায়ুদূষণে খেলোয়াড়দের নাকাল হতে দেখেই মূলত নতুন করে এই দাবি সামনে এনেছে তারা। দ্য প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিসিএ) প্রধান নির্বাহী রব লিঞ্চ সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘আসুন গরমের ক্লান্তিতে কেউ মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা না করি।’

লিঞ্চের আগে এ বিষয়টি এনেছিলেন দ্য ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্সের (এফআইসিএ) প্রধান নির্বাহী টম মোফাটও। তবে ভারতে আয়োজিত ক্রিকেট বিশ্বকাপে উচ্চ তাপমাত্রা ও দূষিত বায়ুর কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে খেলোয়াড়দের অস্বস্তি। এরই মধ্যে খেলোয়াড়দের ভেতর থেকেও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। যে কারণে বিষয়টি আবার নতুন করে উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন

ভারতের গরম আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত ইংলিশ ব্যাটসম্যান জো রুট বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটির সময় তাঁর মনে হয়েছে তিনি ‘বায়ু সেবন করছেন’। যেখানে সেদিন তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি ইংলিশ খেলোয়াড়দের হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। এমনকি ফিল্ডিং শেষে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর অতিরিক্ত ঘামের কারণে তাঁদের জার্সির ওজনও দুই কেজি বেড়ে গিয়েছিল বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগেও দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বলে দেওয়া হয়েছিল বাইরে ঘোরাঘুরি কম করতে। এমনকি অনেক সাংবাদিকও দিল্লির দূষিত ধোঁয়ার কারণে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে যাঁদের আগে থেকেই স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য এমন আবহাওয়া ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।

অতিরিক্ত গরম নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন জো রুট
এএফপি

সম্প্রতি ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও ভারতের বায়ুর মান নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তিনি সে সময় ভারতের পরবর্তী প্রজন্মের কোনো ধরনের ভীতি ছাড়া নিজ দেশে বসবাসের গুরুত্বের কথাও বলেছিলেন।

সিঙ্গাপুরে ফিকার সভায় লিঞ্চ এই বিষয়টি সামনে আনবেন বলে জানা গেছে। যেখানে তিনি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকেও সহায়তা পাওয়ার আশা করছেন। তাঁর লক্ষ্য মূলত মারাত্মক কোনো অসুস্থতা কিংবা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুন

এরই মধ্যে এ সমস্যা মোকাবিলায় বেশ কিছু প্রস্তাবও সামনে এসেছে। যার একটি হচ্ছে স্বাস্থ্য হুমকি এড়াতে খেলা দেরিতে শুরু করা। অবশ্য এখনই স্লো ওভার রেটের কারণে অনেক সময় আড়াইটায় শুরু হওয়া ম্যাচ শেষ হতে হতে ১১টা বেজে যাচ্ছে। আরও দেরিতে শুরু করলে তখন ম্যাচের দৈর্ঘ্য আরও বেড়ে যাবে। আরেকটি সমাধান হিসেবে বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি মনে হলে সেই ভেন্যুতে দলগুলোর খেলতে রাজি না হওয়া।