শেষের শুরুতে ওয়ার্নারের ‘জবাব’, পাকিস্তানের আক্ষেপ

শেষের শুরুতে ১৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন ডেভিড ওয়ার্নার, পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থ টেস্টের প্রথম দিনএএফপি
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ৮৪ ওভারে ৩৪৬/৫ (ওয়ার্নার ১৬৪, খাজা ৪১, হেড ৪০, স্মিথ ৩১; জামাল ২/৬৩, শাহজাদ ১/৬২, আশরাফ ১/৬৫, আফ্রিদি ১/৭৫) (১ম দিন শেষে)

শেষের শুরুতে ডেভিড ওয়ার্নারের বড় শতক; উসমান খাজা, ট্রাভিস হেডের অবদানে পার্থ টেস্টের প্রথম দিনে ৫ উইকেটে ৩৪৬ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনে বেশ উন্নতি করেছে দুই অভিষিক্ত পেসারের সমন্বয়ে গড়া পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ। অবশ্য উইকেটকিপার ও ফিল্ডাররা সুযোগ নিতে পারলে দিনটি তাঁদের জন্য হতে পারত আরও ভালো। তবে শেষ পর্যন্ত দিনটি নিজের করে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজের প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানের ইনিংস খেলা ওয়ার্নারই। দিন শেষে মিচেল মার্শের সঙ্গে অপরাজিত অ্যালেক্স ক্যারি।

সাবেক সতীর্থ মিচেল জনসনের কড়া সমালোচনাকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কের মুখে এ টেস্ট খেলতে নেমেছেন ওয়ার্নার, যিনি এ সিরিজ দিয়ে এ সংস্করণকে বিদায় বলবেন। পেসারদের জন্য সহায়তা আছে, এমন উইকেটে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে প্রথম সেশনটা দাপটের সঙ্গে পার করেন ওয়ার্নার ও তাঁর ওপেনিং সঙ্গী উসমান খাজা, যিনি নিজেও এ টেস্টে নেমেছেন ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে আলোচনায় থেকে।

আরও পড়ুন

দুজন মিলে প্রথম সেশনে যোগ করেন ১১৭ রান, যাতে ওয়ার্নারের একারই অবদান ৭২ রান। দেশের মাটিতে ২৬ ইনিংসের মধ্যে এই প্রথমবার প্রথম উইকেটে শত রানের জুটি দেখল অস্ট্রেলিয়া। সে জুটি অবশ্য পাকিস্তান ভাঙতে পারত আগেই। অভিষিক্ত আমের জামালের বলে স্লিপে টপ-এজে ক্যাচ তুলেছিলেন খাজা, কিন্তু সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন আগা সালমান।

শতকের পর ডেভিড ওয়ার্নার
এএফপি

দ্বিতীয় সেশনে ২ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানকে দিনের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন প্রথম দিন পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯ ওভার করা শাহিন শাহ আফ্রিদিই। ফুললেংথ থেকে একটু বেরিয়ে যাওয়া বলে কট বিহান্ড হন ৪১ রান করা খাজা। মারনাস লাবুশেনও বেশিক্ষণ টেকেননি, ফাহিম আশরাফের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর রিভিউও খরচ করে ফেলেন তিনি।

আরও পড়ুন

দ্বিতীয় সেশনে অবশ্য আর উইকেটের দেখা পায়নি পাকিস্তান, স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে এগিয়ে যান ওয়ার্নার। ১২৫ বলেই পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ২৬তম শতক। জামালকে আপার কাট করে চার মেরে মাইলফলকে যান, এরপর লাফিয়ে উঠে করেন পরিচিত উদ্‌যাপন। চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে সম্প্রচারক চ্যানেলে অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে বলে যান, ‘আমার কাজ হচ্ছে রান করা। যেমনটি বললেন, সমালোচনা হবে, সেটি মেনে নিতে হবে। তবে রান করার চেয়ে তাদের চুপ করানোর আর কোনো ভালো উপায় নেই।’

চা-বিরতির আগে-পরে স্মিথের সঙ্গে ওয়ার্নার যোগ করেন ৭৯ রান। শেষ সেশনে জুটিটি ভাঙেন জামাল, তাঁর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কট বিহাইন্ড হন ৩১ রান করা স্মিথ। নতুন যুগ্ম সহ-অধিনায়ক হেডের সঙ্গে ওয়ার্নারের জুটিতে এরপর ওঠে ৬৬ রান। সে জুটির পথেই ১৫০ পেরিয়ে যান ওয়ার্নার।

শতকের পর দুবার বেঁচে যাওয়া ওয়ার্নার দ্বিশতকের পথে ছিলেন ভালোভাবেই, তাঁর সর্বশেষ শতকটিও ছিল দ্বিশতক। কিন্তু জামালের লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরের পরিকল্পিত শর্ট বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে থামেন তিনি। ১৬টি চারের সঙ্গে ইনিংসে মারেন ৪টি ছক্কা। ঠিক আগের ওভারেই জামাল থামিয়েছিলেন হেডকেও, যিনি ক্যাচ দেন ডিপ থার্ডে।

মার্শ ও ক্যারি অবশ্য নিরাপদেই পার করেন বাকি সময়। কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার ছাড়াই খেলতে নামা পাকিস্তানের হয়ে দিনে সবচেয়ে বেশি ২২ ওভার করেন পার্ট-টাইম অফ স্পিনার সালমান, যিনি থাকেন উইকেটশূন্য।

আরও পড়ুন