বাংলাদেশকে সিরিজে হারাবেন, বলছেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক
সংবাদ সম্মেলনে এসেই তাড়া দিতে শুরু করলেন নেদারল্যান্ডসের মিডিয়া ম্যানেজার কোরে রুটগার্ডস। মনে করিয়ে দিলেন, অনুশীলনে সময়মতো পৌঁছাতে হবে। সময়ের কাঁটা ঠিকঠাক মেনে চলা দলটিকে বিশ্বকাপের বাইরে অবশ্য দেখা মেলে কমই। সহযোগী সদস্যদেশ হিসেবে তাদের গণ্ডিও সীমিত।
একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা আরেকটু পরিষ্কার হবে—দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে নেদারল্যান্ডস এবারই প্রথম এসেছে বাংলাদেশে। তা–ও ভারত সিরিজ বাতিল করায় এশিয়া কাপের আগে আর কোনো দলকে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে। প্রথমবার বাংলাদেশে আসার রোমাঞ্চের কথাটা মুখে একটা চওড়া হাসি নিয়েই বললেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তবে এর আগের প্রশ্নের উত্তরে ফুটে উঠল তাঁর আত্মবিশ্বাস, সিরিজে বাংলাদেশকে হারাতেই এসেছে তাঁর দল, ‘অবশ্যই বিশ্বাস করি, সিরিজ জিততে পারব। প্রতিটি সিরিজে জেতার জন্যই খেলি। আমরা আশা করি, ভালো ক্রিকেট খেলব। যদি যথেষ্ট ভালো খেলতে পারি, তাহলে আমাদের একটা সুযোগ থাকবে।’
বেশির ভাগ সময় এভাবেই আমরা সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিই, দুটি বা তিনটি দিন অনুশীলনের সুযোগ থাকে। আমাদের অনেকেরই এ অভিজ্ঞতা আছে। উপমহাদেশে আমাদের যে অভিজ্ঞতাগুলো আছে, তা নিয়ে আসব। নতুনদের জন্যও দ্রুত শিখতে হবে প্রস্তুতি নেওয়া। অবশ্যই সিরিজটা কঠিন। বাংলাদেশে এসে তাদের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে অনেকেই ভুগেছে।নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস
আত্মবিশ্বাস খুঁজতে পেছন ফিরে নেদারল্যান্ডসের জন্য যদিও সুখস্মৃতি খুব একটা নেই। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এখন পর্যন্ত পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশ। এর মধ্যে একমাত্র জয় এসেছিল ২০১২ সালে। কাছের অতীতে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও হেরেছিল তারা।
তবে সেটির বছরখানেক আগের অন্য বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস—সেটি যদিও ভিন্ন সংস্করণ ওয়ানডেতে। কলকাতায় ২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হেরেছিল ডাচদের কাছে। ওই স্মৃতি কি নেদারল্যান্ডসকে প্রেরণা জোগাবে এবারও?
এডওয়ার্ডসের উত্তর, ‘“হ্যাঁ” ও “না” দুটিই। এটি ভিন্ন সংস্করণ ও কন্ডিশন, কিন্তু ম্যাচ জেতা সব সময় আত্মবিশ্বাস জোগায়। দুটি দলই অনেক বদলে গেছে এখন (দুই বছর আগের তুলনায়)। আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং সিরিজটার দিকে তাকিয়ে আছি।’
এরপরই অবশ্য নিজেদের বিশ্বাসের কথাটাও জানিয়ে দিয়েছেন ডাচ অধিনায়ক, ‘দলের সবার মধ্যে একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। আমরা অনেক বেশি স্নায়ুচাপের ম্যাচ খেলেছি বিশ্বকাপ ও বাছাইয়ে। আমাদের যে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, তা দেখিয়ে দেয়, নিজেদের দিনে যে কাউকে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে।’
তবে কাজটা করা যে সহজ হবে না, তা জানা আছে এডওয়ার্ডসেরও। সিরিজের আগে দুই দিন প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। সেটিকেই কাজে লাগানোর দিকে এখন চোখ তাঁর।
তবে উপমহাদেশের কন্ডিশনে কীভাবে প্রস্তুত হতে হয়, তা–ও একেবারে অজানা নয় বলেই জানালেন ডাচ অধিনায়ক, ‘বেশির ভাগ সময় এভাবেই আমরা সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিই, দুটি বা তিনটি দিন অনুশীলনের সুযোগ থাকে। আমাদের অনেকেরই এ অভিজ্ঞতা আছে। উপমহাদেশে আমাদের যে অভিজ্ঞতাগুলো আছে, তা নিয়ে আসব। নতুনদের জন্যও দ্রুত শিখতে হবে প্রস্তুতি নেওয়া। অবশ্যই সিরিজটা কঠিন। বাংলাদেশে এসে তাদের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে অনেকেই ভুগেছে।’