নতুন ক্রিকেটার তুলে আনতে চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা দল নিয়ে ২৮ আগস্ট শুরু হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক চট্টগ্রাম আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম ও জেলা স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। দুটি সেমিফাইনাল ও ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ফাইনাল হবে দিবারাত্রির।
মূলত বিসিবি পরিচালক আকরাম খানের উদ্যোগেই হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটি। টুর্নামেন্টের জন্য এর মধ্যে ছয়টি স্পনসরও পাওয়া গেছে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন আকরাম। স্পনসর প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইস্পাহানি, এবি ব্যাংক, ফর্টিস গ্রুপ, ক্লিফটন গ্রুপ, কন্টিনেন্টাল গ্রুপ ও এশিয়ান গ্রুপ। এর মধ্যে ক্লিফটন স্পনসর করবে শুধু খাগড়াছড়ি জেলা দলকে। বাকি পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দুটি করে জেলা দলকে স্পসনর করবে। কুমিল্লা ও রাঙামাটি জেলা দলের স্পনসর ফর্টিস গ্রুপ; ইস্পাহানি ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের স্পনসর; এশিয়ান গ্রুপ চট্টগ্রাম ও বান্দরবানের; এবি ব্যাংক চাঁদপুর ও নোয়াখালীর এবং কন্টিনেন্টাল গ্রুপ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কক্সবাজার জেলা দলের স্পনসর।
টুর্নামেন্টের উদ্দেশ্য নিয়ে আকরাম খান বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলো থেকে নতুন ক্রিকেটার তুলে আনাই লক্ষ্য এই টুর্নামেন্টের। এতে বিভাগীয় দল নির্বাচনে আমাদের হাতে আরও বেশি খেলোয়াড় থাকবে। আমাদের পরিকল্পনা আছে, এখানে ভালো খেলা দু-একজন ক্রিকেটারকে আমরা এবারের এনসিএল টি-টোয়েন্টির চট্টগ্রাম দলে সুযোগ দেব।’
আকরাম খান জানিয়েছেন, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলোয়াড়েরা যে ধরনের হোটেলে থাকেন, যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পান; এই টুর্নামেন্টের ক্রিকেটারদের জন্যও সেসব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। টুর্নামেন্টের অর্ধেক খরচ বহন করবে বিসিবি ও বাকি অর্ধেক আসবে স্পনসরদের কাছ থেকে।
চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টি লিগ অবশ্য এবারই প্রথম নয়। ২০০৮-০৯ মৌসুমে এখানে পোর্ট সিটি ক্রিকেট লিগ নামে একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরে যা হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাতেও।