ম্যাক্সওয়েলের দ্বিশতক নিয়ে যে ভুলে চটেছেন ক্লার্ক

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছেন অবিশ্বাস্য এক ইনিংসছবি: এএফপি

অবিশ্বাস্য কিছু দেখে আবেগে মাঝেমধ্যে ভুল হয়। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অবিশ্বাস্য ইনিংসটি দেখেও তেমন ভুলই করেছেন অনেকে। গত বুধবার আফগানিস্তানের ২৯১ রান তাড়ায় ছয়ে নেমে ১২৮ বলে অপরাজিত ২০১ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে ম্যাচ জেতানোর পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালেও তুলেছেন ম্যাক্সওয়েল।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ করপোরেশন’ জানিয়েছে, ওই ইনিংসের পরপরই বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে বলা হয়, ওয়ানডেতে কোনো অস্ট্রেলিয়ানের এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ভুলটা হয় এখানেই।

আরও পড়ুন

নিউজ করপোরেশন এ নিয়ে নিজেদের ভুলের দায়ও স্বীকার করেছে। সঠিক তথ্যটি হলো, ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি নারী ক্রিকেটের কিংবদন্তি বেলিন্ডা ক্লার্কের। ১৯৯৭ নারী বিশ্বকাপে ডেনমার্কের বিপক্ষে ২২৯ রান করেছিলেন ক্লার্ক। নারী–পুরুষ মিলিয়ে ওয়ানডেতে সেটাই প্রথম দ্বিশতক।

অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৯৭ ও ২০০৫ বিশ্বকাপও জিতিয়েছিলেন ক্লার্ক। অস্ট্রেলিয়া নারী দলকে ১১ বছর নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক এই ক্রিকেটারও চুপ থাকেননি। ভুলটা করায় চটেছেন তিনি।

১৯৯৭ বিশ্বকাপে ২২৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বেলিন্ডা ক্লার্ক
ছবি: সিএ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীরাই ভুলটা ধরিয়ে দেন। তাতে ম্যাক্সওয়েলের মহাকাব্যিক দ্বিশতকের কয়েক ঘণ্টা পরই ক্লার্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ট্রেন্ড’–এ পরিণত হন বলে জানিয়েছে নিউজ করপোরেশন। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘নারীর ভাস্কর্য হতে পারে কিন্তু মাঠে অবদানের কোনো কৃতিত্ব সে পাবে না। ওয়ানডে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে দ্বিশতক বেলিন্ডা ক্লার্কের এবং রেকর্ডটি তারই থাকবে। সত্যি বলতে, এই তথ্য খুঁজে বের করাও কঠিন কিছু না।’

আরও পড়ুন

৫৩ বছর বয়সী ক্লার্ক এ নিয়ে ইয়াহু স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর ভাষ্য, ‘আমার মতামত হলো, কে কোন লিঙ্গের তা ভুলে আমাদের পারফরম্যান্সকে সম্মান করা উচিত। সুযোগ সবার জন্যই আছে। আর এমন ভুলও সবারই হয়। মেয়েরা ১৯৩৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিশতক তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল
ছবি: এএফপি

ম্যাক্সওয়েলকে অভিনন্দন জানিয়ে বেলিন্ডা ক্লার্ক আরও বলেছেন, ‘ব্যাপারটা দুর্দান্ত এবং আমি গ্লেন ও দলের পারফরম্যান্সে খুশি। আর এই ব্যাপারটা (ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসের সঙ্গে তুলনা) মেয়েদের খেলাধুলাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে স্বীকৃতি দেওয়ার মতোই। ১৯৯৭ তো অনেক আগের কথা, তাকে এই ক্লাবে স্বাগত।’

মেয়েদের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে গড়িয়েছিল ১৯৩৪ সালে। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়া নারী দলের বিপক্ষে তিন দিনের সেই টেস্টে ৯ উইকেটে জিতেছিল ইংল্যান্ড।

আরও পড়ুন