করোনার খেলা আবার শুরু, মাঠের বাইরে হেড
এবারের আইপিএল মৌসুম ভুলে যেতে চাইবেন ট্রাভিস হেড। তাঁর দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এখনো তিন ম্যাচ বাকি। এর অনেক আগেই প্লে-অফ পর্বের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে হায়দরাবাদ।
হেড নিজেও প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি। ১০ ইনিংসে ২৮.১০ গড়ে করেছেন ২৮১ রান। সর্বশেষ চার ইনিংসের একটিতেও ৩০ ছুঁতে পারেননি; এই চার ইনিংসে স্ট্রাইক রেটও বড্ড বেমানান—১০৩.০৭।
তাই ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়ায় হতাশা নিয়েই হেডকে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে হয়েছিল। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় আইপিএলের বাকি অংশ আবার শুরু হলেও এখনো হায়দরাবাদ দলে যোগ দিতে পারেননি এই ওপেনার। কারণ, তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে বাধ্য করেছে একসময়ের বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস। হায়দরাবাদের প্রধান কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরি কাল রাতে এই দুঃসংবাদ দিয়েছেন।
আইপিএলে আজ রাতে লক্ষ্মৌর অটল বিহারি বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হবে সানরাইজার্স। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হেড এখনো ভারতে পৌঁছাতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই আজকের ম্যাচটি তিনি খেলতে পারবেন না।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হায়দরাবাদ কোচ ভেট্টরি বলেছেন, ‘ট্রাভিস হেড আগামীকাল (আজ) সকালে আসবে। আসলে সে কোভিডে আক্রান্ত। এ কারণে আগে আসতে পারেনি। আসার পরেই আমরা জানতে পারব সে কেমন আছে। পুরোপুরি সেরে উঠলেই তাকে দলে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। আশা করছি পরের ম্যাচে তাকে পাওয়া যাবে।’
হেড কবে, কোথায়, কীভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সে ব্যাপারে কিছুই জানাননি ভেট্টরি। ধারণা করা হচ্ছে, সম্প্রতি সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে করোনার যে নতুন দুই ধরন (এলএফ.৭ ও এনবি ১.৮) শনাক্ত করা হয়েছে, হেড সেখান থেকেই আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। কারণ, বিমানে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া-আসার পথে সাধারণত সিঙ্গাপুর অথবা হংকংয়েই যাত্রাবিরতি দেওয়া হয়।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে, করোনার নতুন দুই ধরন ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৫ মের পর থেকে দেশটিতে কমপক্ষে ৯৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।